কর্মফল
কর্মফল


নিজের স্ত্রী মিত্রার কথায় প্ররোচিত হয়ে 'ঘরের বোঝা' আরতিকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিল প্রণবেশ। মিত্রার বক্তব্য,বাড়ি আলো করে এসেছে নতুন অতিথি কৃষাণু। এমতাবস্থায় সবসময় পূজা অর্চনারত বৃদ্ধা আরতিকে বাড়িতে রাখলে ছেলেকে আধুনিক মনস্কসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। মিত্রা সর্বান্তকরণে চায়,কৃষাণুর চরিত্রগঠনের ও জীবনগঠনের মধ্যে যেন কোনো খুঁত না থাকে। কারণ প্রণবেশ ও মিত্রার জীবনে যেসব স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে,সেই সকল নানা রঙের স্বপ্ন যেন কৃষাণুর দ্বারাই পূরণ হয়। কৃষাণুই হোক ভগবানের আশীর্বাদ,তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণের চাবিকাঠি।
চল্লিশ বছর কেটে গেছে। অশ্রুসজল চক্ষে স্ত্রীর হাত ধরে বৃদ্ধাশ্রম শান্তিনীড়ে ঢোকার সময় মনে হয় প্রণবেশ সাহার কৃষাণুকে তাঁরা প্রত্যাশাপূরণের চাবিকাঠি হিসাবেই গড়ে তুলেছেন, এক সংস্কৃতিবান পুত্র হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন নি। কে বলে,পুত্র শুধু কুপুত্র হয়! শরতের এই সোনালী সকালে উপলব্ধি করেন তাঁরাই কুপিতা-কুমাতা!