কে ছিল ও ?
কে ছিল ও ?
আমি আমার ডিউটি শেষ করে ফিরছি রাত তখন এগারোটা। কয়েক ঘণ্টা আগে তুমুল ঝড় বৃষ্টি হয়েগেছে। রাস্তায় তাই একটাও লোক নেই। পুরো ফাঁকা সুনসান রাস্তা। এমন সময় দেখি আমাদের বাড়ির কয়েকটি বাড়ির আগের বাড়ি মেয়ে সোমা আমার দিকে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে বলল,"আজ ঝড় বৃষ্টি রাতেও তুই এতো দেড়ি করে বাড়ি ফিরছিস। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারিস না। রাতের অন্ধকারে তো কতো রকমের বিপদ লুকিয়ে থাকে।"
আমি বললাম,"ঠিকই বলেছো। কিন্তু কি করবো বোলো। আমার যা ডিউটি। আমাদের তো সময়ের হিসাব করে ডিউটি শেষ হয় না। যখন দরকার তখনই যেতে হবে। পুলিশের ডিউটি যে এমনই হয়। আমার না হয় ডিউটির জন্য বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু তুমি এতো রাতে এই ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছো কেনো ? তোমার কি ভয় নেই ?"
সোমা বলল,"আমার আর ভয় নেই। আমি তো এখন ভয়ের উর্দ্ধে চলে গেছি। সারাদিন রাত রাস্তায় টোটো করে ঘুরে বেড়ায়। আমার আর কোন ক্ষতি কোন মানুষ করতে পারবে না। কথাগুলো বলেই হোঃ হোঃ হোঃ করে হেঁসে উঠলো।"
সোমার হাঁসির আওয়াজে আমার শরীরের মধ্যে শিহরন খেলে গেলো। হঠাৎ ভয়ে আতঙ্কে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। আমার যে হঠাৎ মনে পড়ে গেল। গত বছরের শেষের দিকের, এক ভোর বেলায় , গ্রামের মানুষেরা রাস্তার ধারের বড় তেঁতুল গাছের ডালে সোমার ঝুলন্ত দেহটা দেখতে পায়। সোমা যে মারা গেছে। এখন গ্রামের কেউ জানেনা কেনো সে মারা গেলো। তাহলে আমি এতোক্ষণ ভূতের সঙ্গে কথা বলছিলাম..…..