মাতৃ স্নেহ
মাতৃ স্নেহ


আজ খুব ভোরে ভোরেই ঘুম ভাঙ্গলো ঊর্মিলা দেবীর,যদিও তিনি রোজ সকাল সকাল বিছানা ছাড়েন।
আজ তার কাছে একটা স্পেশাল দিন, বহু বছর আগে আজকের দিনেই তিনি মাতৃত্বকে অনুভব করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাই তো ঈশ্বর কে ধন্যবাদ জানাতে হবে।
সেই জন্য তারাতারি স্নান সেরে ঠাকুর কে ভোগ নিবেদন করে, ঠাকুরের সামনে জোর হাতে প্রনাম করে বললেন-"ঠাকুর আমার বাবাই এর আজ চল্লিশতম জন্মদিন ওকে ভালো রেখো, সুখে শান্তিতে ভরিয়ে দিয়ো।"
মনে মনে ভাবতে লাগলেন ছোট বেলায় নিজেই পায়েস রান্না করে ঠাকুরকে নিবেদন করে ছেলের মুখে দিতেন।
কিন্তু এখন তো সে উপায় নেই। বাবাই এর বাবা মারা গেছেন আট বছর হতে চললো। তিনি চলে যাবার দুবছর পরেই হরিদ্বার বেরাতে
আসে ঊর্মিলা দেবী ছেলে বাবাই আর বৌমা,সঙ্গে দু'বছরের নাতি গোপালের সঙ্গে।
তারপর ছেলে বৌমা নাতিকে সঙ্গে নিয়ে সেই যে হরিদ্বারের ঘাটে তাকে বসিয়ে রেখে চলে গেলো আর এলোনা।
দেখতে দেখতে ছয় বছর পার হয়ে গেলো ঊর্মিলা দেবী জানেন তাঁরা আর কোনদিন আসবে না। কিন্তু তিনি তো মা তাই প্রত্যেক বছর ছেলের জন্ম দিনটা ঠাকুর ঠাকুরের সামনে বসে একা একাই পালন করে।
সন্তান তাকে ভুলে গেলেও তিনি তা পারেন না। সর্বদা সন্তানের মঙ্গল কামনায় করেন। মাতৃত্ব যে কঠিন জিনিস সব যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে।