ক্যানভাস
ক্যানভাস


মেয়েটা একটু কালো,একটু না অনেকটাই।তবে অয়নের মতো ফ্রাস্টেটেড, মুখ থুবড়ে পড়া শিল্পীর কাছে আর কোনো অপশন নেই।তাছাড়াও এতো কম খরচায় কেউ ক্যানভাসের উলটো দিকে দাঁড়াবে না।
- দাদা,মেয়ে একটু কুৎসিত, তবে আপনি যা বলবেন সেটাই করবে!
- হুম,বেশ কালই নিয়ে এসো।
- আমার..
- কাল সব পেয়ে যাবে।
অয়নের হাতে এখন কিছু নেই।সর্বস্ব ঢেলেছিল লাস্ট এক্সজিবিশনে, প্রায় দুবছর আগে। দর্শকেরা দাম দিয়ে কেনেনি,অনেকে সমালোচনা করে বলেছে-"ছবির মধ্যে উত্তেজক কিছু নেই!"
ডাস্টবিন হাতড়ানো ছেলেটা,কিম্বা মুখে রংচঙ মাখা কিশোরী,ভিখারী মায়ের শুকিয়ে যাওয়া শরীরে শিশুটির খাদ্য খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা...
অয়ন কোন ড্রিম গার্লের লাস্যময়ী ঠোঁট আর স্ফীত স্তনকে ফোকাস করতে শেখেনি। বরং আলো-আঁধারীতে সমাজের পচে যাওয়া দিকগুলো দেখিয়েছিল।
ছবিগুলো দেখে হা-হুতাশ করা যায় কিন্তু সুসজ্জিত ড্রয়িংরুমে ঝোলানো,"ইম্পসিবল"।
- শেষে একটা বস্তিবাড়ির মেয়ে আমার বাড়িতে..আর তার জন্য তোমায় পাঁচহাজার দিতে হবে! আর ইউ এন ইডিয়ট!
- টাকাটা আমি তোমার থেকে ধার নিচ্ছি সুস্মিতা, আর বাড়িটা তোমার একার নয় আমারও।
- তুমি ধার শোধ করতে পারবে!রিয়েলি!লোক হাসিওনা অয়ন। আমি টাকাটা দিচ্ছি,কিন্তু আমি ওসব নোংরা লোকের সাথে থাকতে পারবোনা।তোমার আঁকার শখ হয়েছে তো আমাদের ফার্মহাউসটা নিতে পারো,বুধনকে পাঠিয়ে দেবো তোমার সাথে।আমি বাপীকে ফোন করে দিচ্ছি।
অয়নের বুকের মধ্যে কাঁটার মতোন বেঁধে সুস্মিতার এক একটি কথা।অবশ্য ওর মতো অকর্মণ্য জামাইকে শ্বশুড়ের ওপর ভরসা করতেই হয়!
অয়নের মনে হয়,দিন দিন ওর মেরুদন্ডটা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে নাতো!
মেয়েটির নাম সুধা।ছবিতে যতোটা খারাপ দেখতে লাগছিলো,এখন অতোটা নয়। বয়স বড়োজোর কুড়ি কি একুশ হবে! হাতে ছোট ব্যাগ,গায়ে গোলাপী সালোয়ার কামিজ,বুক অব্দি ওড়না নামানো। মাথা এতোটাই নীচু যে চেহারা দেখা যাচ্ছে না।
- দাদা আমার পেমেন্ট!!.
- হুম এই নাও পাঁচ হাজার।আর মেয়েটিকে বলো মাস শেষে ও পাঁচ হাজার পেয়ে যাবে!
- হে হে..আসি।
সুধা সালোয়ারের ওড়না আঙুলে পেঁচিয়েই যাচ্ছে।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
- অনেকদূর থেকে এসেছো,এখন বিশ্রাম করো।বিকেলে কাজ শুরু হবে।
- আচ্ছা।
- বুধন,এই বুধন।যাতো ওকে ঘরটা দেখিয়ে দে।
বিকেলে সুধার ঘরে আসে অয়ন।অবাক হয়ে যায়,এতো ছোট ঘরটাকেও কি সুন্দর সাজিয়ে নিয়েছে!
- দাদা,এখন কি কাজ শুরু হবে?
- হবে,তবে তার আগে কিছু বলার আছে মন দিয়ে শোনো!
- আচ্ছা।
- আমি আর্টিস্ট, মানে যে ছবি আঁকে।অনেক জায়গায় আমার আঁকা পাঠিয়ে পাঠিয়ে প্রায় দুবছর পর একটি বিদেশি কালচারাল সোসাইটি আমার কিছু আঁকা কিনে নিতে চান।তবে আঁকা নতুন হতে হবে,এবং বিষয় হবে বাংলার একটি মেয়ের সরল জীবনযাপন। আমি অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছিল না,আসলে সবটা খুইয়েছি নিজের...থাক সে কথা!তোমাকে আমার কাছে প্রায় দুমাসের মতোন থাকতে হবে,আর মাসে পাবে পাঁচ হাজার।খাওয়া থাকার সমস্যা নেই,আমার মানে আমার শ্বশুরমশাইয়ের ফার্ম হাউসেই থাকবো আমরা আর থাকবে বুধন।মাঝে মাঝে আমার স্ত্রী আসতে পারে আবার নাও পারে। আর আমি নিজেকে যেটুকু জানি মেয়েজনিত দোষ আমার নেই,তাই সে ব্যাপারে তুমি নিশ্চিত হতে পারো!তাও যদি মনে হয় তোমার অস্বস্তি হচ্ছে,তুমি এখনো বাড়ি ফিরতে পারো,আমি ব্যবস্থা করে দেবো।
- আমি যাবোনা,যা বলবেন সেটাই করবো।
- বেশ।তবে এসো আমার হলরুমে,ওখান থেকেই কাজ শুরু হবে।
অয়ন অনেকদিন পর তার ক্যানভাস গুছিয়ে বসে।মোটা ব্রাশগুলো কতদিন চিত্রকরের ছোঁয়া পায়নি!ক্যানভাসের স্ট্যান্ডটা সোজা দাঁড় করিয়ে ডানদিকে প্যালেট সাজায়।ক্যানভাসের সাদা বোর্ডটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে,কেমন যেন মনে হয় কাপড়টায় সাদা সাদা ছোপ!ওরাও কি অয়নের মন খারাপটা বোঝে!
সাদা রঙের আস্তরন পড়তে থাকে।
এরই মাঝে সুধা এসে দাঁড়ায়।সদ্য স্নান সেরে এসেছে।ভেজা চুল থেকে জল চুইয়ে পড়ছে আর ভিজিয়ে দিচ্ছে ওর লালপাড় শাড়িটা।কপালে একটা লাল টিপ পড়েছে,হাতে দুগাছা চুড়ি মাত্র!
অয়ন কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।সুধাতো কুৎসিত নয়!ওর হাসিটাতো আগে অয়ন দেখেনি!
- দাদা,কোথায় বসবো?
- তুমি শাড়ি পড়লে যে?
- আপনি বললেন যে বাংলার সাদামাটা মেয়ে,তাই শাড়িটার কথাই মনে হলো আগে!দুটোই শাড়ি এনেছি।কেন দাদা ভাল্লাগছে না!বদলে আসবো?
- না না,এই আইডিয়া আসেনি মাথায়।বেশ লাগছে দেখতে।তুমি ওই টুলটায় বোসো,বেশি নড়বেনা।যেভাবে আরাম পাও সেভাবে বসো।
- আচ্ছা।
অয়ন পেন্সিল তুলে নেয়,টু বি।এক একটা আঁচড়, আর এক একবার সুধাকে মন দিয়ে দেখা।সুধা অয়নের দিকে সোজা তাকিয়ে,অয়নের খোঁচা খোঁচা দাড়ি। শার্টের প্রথম দুটো খোলা বোতামে লোমশ বুক।সুধা মাথা নামিয়ে নেয়।
- নড়ো না।আজকে স্ট্রাকচারটা হয়ে গেলে কাল সুবিধে হবে।
- আচ্ছা।
রাত বারোটা অব্দি কাজ চলে,সুধা অবাক হয়ে ক্যানভাসে দেখে নিজেকে।ও কি আদৌ এতো সুন্দর!
- বুঝলে,অনেক বসে রয়েছে হাত।সময় লাগবে ফিরতে।এই জন্য দুমাস বলেছি তোমায়।
- হুম।
- যাও খেয়ে শুয়ে পড়ো।
- আপনি?
- আর্টিস্টদের আবার খাওয়া-ঘুম।অনেক কিছু ভাবার আছে,যাও তুমি!
এভাবে সাতদিন মতোন কাজ চলে।একটা ক্যানভাস প্রায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে।কিন্তু আউটডোরে না গেলে হচ্ছে না!
- বলছি..
সুধা তখন সবে স্নান করে বেড়িয়েছে,মাথায় ভিজে গামছা প্যাঁচানো, আলুথালু করে পড়া একটা শাড়ি,তার আঁচল মেঝে অব্দি।টেবিলে রাখা ছোট্ট রাধা-কৃষ্ণ,তাকেই প্রণাম করছে মাথা ঠেকিয়ে,বিড়বিড় করে পড়ছে কোন মন্ত্র!
অয়ন অবাক হয় আরেকবার।মাকে শেষ এভাবে দেখেছে ও,তুলসীমঞ্চে।কি ভালোলাগতো?মায়ের গায়ে এক অদ্ভুত গন্ধ পেতো তখন, জড়িয়ে ধরতো আদরে!
সুধার গায়েও কি...
ছিঃ কিসব ভাবছে ও!
- আ
পনি!
- এই যে তুমি প্রণাম করছিলে,এমন একটা ছবি আমার চাই!
- এমন!
- হুম।
তারপরের পনেরোদিন সুধা একি পোজে দাঁড়িয়ে থেকেছে।
অয়নকে দেখে ওর মনে হয়েছে স্বয়ং কৃষ্ণ বুঝি এমনই হন!
আর অয়ন ভেবেছে,সুধা কেন ঠিক ওর মায়ের মতোন!
তারপর আউটডোরের পালা। ফার্মহাউসটার খুব কাছেই যে এমন নদী পাওয়া যাবে,সেটা অয়ন ভাবেনি!অবশ্য খোঁজ এনেছে বুধনই।
- জানেন আমার বাড়ির পাশেও এমন নদী,তবে সে পাহাড়ী,তিস্তা।
- তুমি নদী ভালোবাসো?
- নদী কে না ভালোবাসে,আমাকে যদি বলেন ঘন্টার ঘন্টা এই জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে আমি রাজী।চোখ বুজলেই আমি তিস্তার আওয়াজ শুনি,সেখানে স্নান করি,আমার বান্ধবীদের সাথে রংবেরং-এর পাথর কুড়াই।অবশ্য এই নদীতে পাথর পাবেন না।
- তবে বোসোনা পা ডুবিয়ে!
- সত্যি!
- হুম,আর চুলটা খুলে বোসো।
সুধা মন্ত্রবিমুগ্ধের মতোন বসে, পাড়ের অনেকটা নীচেই, ওপর থেকে পেন্সিলের আঁচড় কাটে অয়ন। তারপর প্যালেট সাজায় একটার পর একটা রঙ দিয়ে,নতুন কনের মতোন।রংহীন জলবাটি ভরে ওঠে একটার পর একটা রঙে!
সুধা চোখ বুজে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে,স্বপ্ন আসে ওর!অনেকদিন পর।অয়নের সেই লোমশ বুকে ও মাথা রাখছে,আর ওর কালো কপালে আদর করছে অয়ন।
সেই জায়গায় দিনকয়েক যাতায়াত চলে।সুধা আজকাল অয়নের খেয়াল রাখতে শুরু করেছে।অয়নের সিগারেট খাওয়া বাদ,সময়মতো খাওয়া ঘুম সব সুধা দেখে।অয়ন কিছু বলেনা,ও জানে সুধা ওর কেউ নয় তবুও ওর দু একটা বকুনি খেতে ওর বেশ লাগে।ওর এলোমেলো ঘর গুছিয়ে রাখে,রঙ তুলি আর এখানে ওখানে পরে থাকেনা,অয়নের চুলগুলো আঁচড়ানো হয় পরিপাটি করে।
অয়ন শুধু বলে,"সুধা,তুমি কেন মায়ের মতন?"
সুধা হাসে শুধু।
অয়ন আজ ওর শেষ আঁকাটা ধরবে,কিন্ত কি আঁকবে জানেনা।
- সুধা।
- বলুন।
- মেয়েরা কি চায়,কি আঁকলে মেয়েরা ভাববে যে আমি ওদের আঁকাই একেঁছি?
- হঠাৎ মেয়েদের পেছনে পড়লেন কেন?
- তোমাকে দেখে!
- কেন?
- তুমি কেন ওখানে থাকো,তুমি তো বস্তিতে থাকার মেয়ে নও।তুমি অন্য কিছু,তুমি নিজেকে ধরা দিতে চাইছোনা!
- সবাইকে ধরা দিতেই হবে।
- হবে হবে,আমার কাছে হবেই।
- কেন?
- ভালোবাসি হয়তো তোমাকে!
- আমার মতোন কালো মেয়েকে!তোমার অতো সুন্দরী স্ত্রী থাকতে..
- সুস্মিতাকে আমি ভালোবাসি,আমরা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম।আমার যে পেশা নিয়ে ও তাচ্ছিল্য করে সেই তো আমাদের যোগসূত্র। অথচ বিয়ের পর সব বদলে গেলো।ওর জীবনে বড্ড কোলাহল,দুদন্ড সময় নেই।বললে বলে আমার মতন ভবঘুরে হলে ওর বাপীর মান থাকবে না। সুস্মিতা যেন আমার স্ত্রী নয়,ওর বাপীরই মেয়ে। অথচ আমি ওকে এখনো ভালোবাসি। ওর রোজ খোঁজ নিই ফোন করে,কিন্তু ওর কোন ফোন আমার কাছে আসেনা।বড্ড উড়তে ভালোবাসে ও।
- আর আমি?
- তুমি,তুমি তো..। আমি তোমাকে যে কিভাবে ভেবেছি সে যদি বুঝতে!দুমড়ে যাওয়া এক শিল্পীকে তুমি ফিরিয়ে এনেছো,মায়ের সেই স্নেহ ফিরিয়েছো।তোমার কাঁধে মাথা রাখলে আমি স্বপ্ন দেখতে পাই।তোমার ভেজা চুলগুলোকে বার বার কালির আঁচড়ে আঁকতে চাই।তোমাকে এতো দেখেছি,স্টাডি করেছি তবু মনে হয়,আরো কত কি বাকি?তুমি যদি রোজ আমার ক্যানভাসের ওপারে দাঁড়াও,আমি রোজ তোমায় আঁকতে পারি,যে রঙ চাইবে সে রঙে সাজাতে পারি।তুমি আমার মানসকন্যা!
সুধা জড়িয়ে ধরে অয়নকে,অনেকদিনের শুকিয়ে যাওয়া জল অয়নকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
- ভালোবাসো কেন আমায়,ভালোবাসতে নেই আমায়,তুমি জানো না আমি কে?
- জানিনা,জানতেও চাইনা।শুধু তোমার মুহূর্তগুলো বন্দী করতে চাই। এই যে এখন তুমি আমায় ভালোবাসছো,বলো আর কি এমন করে কোনোদিন বাসবে?এই রাত,আমাদের এই কথাগুলো কি ফিরে আসবে?তুমি আমার নও সুধা,আমি জানি।কিন্তু মুহূর্তগুলো আমার,এই আমার ক্যানভাস!
পরদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায় অয়নের।আজই সুধাকে বলে শেষ ক্যানভাসটা শুরু করতে হবে।ইতিমধ্যে ইমেইলে এই সোসাইটির হেড তাড়া দিতে শুরু করেছে!
- সুধা কোথায় বুধন!
- জানিনা দাদাবাবু,কোথায় বেড়িয়ে গেলো।এইটা আপনাকে দিতে বলছে।
অয়ন খুলে পড়তে থাকে-
- ভালোবাসা আমার কপালে সয়নি কোনোদিন।যা দিয়েছো সেই ভাগ্য।বাবা মা র বোঝা হয়ে রইবোনা বলেই ঘর ছেড়ে বেড়িয়েছিলাম। গায়ের রংটা কালো,মনটাতো আর নয়!নষ্ট মেয়ে হবার জেদে বেড়িয়েছিলাম,কিন্তু তুমি হতে দিলেনা।আর্টিস্ট তুমি,ভেবেছিলাম নগ্ন হতে হবে। কিন্তু তোমার ক্যানভাস আমায় আবার স্বপ্ন দেখালো।
না,ঘরের স্বপ্ন দেখিনা।তাছাড়া স্বার্থপরের সংখ্যা অনেক বেশি,আমি সে দলে নাম লেখাইনি।তোমার ঘর যেমনই হোক,ঘর তো!ঘরের মূল্য আমি বুঝি,তাই চললাম।একটা বাচ্চাদের স্কুলে
আমার ব্যবস্থা হয়ে যাবে হয়তো,আশা আছে।বাচ্চারা আর যাই হোক গায়ের রঙটা দেখেনা।
আর হা,বলছিলে না শেষ ক্যানভাসটা কি হবে?যদি আমার মতোন মেয়ের কাছে বলো,কাল রাতের শেষ মূহূর্তটাই স্বপ্ন আমার!হয়তো এক একজন সাদা মাটা মেয়ে যারা ওড়ার জন্য আকাশ পায়নি তাদের কাছেও একটা বুকে মাথা রেখে কাঁদতে পারাটাই সুখ আর স্বপ্ন।পারলে ওটাই এঁকো!
আর হ্যাঁ, স্বপ্ন দেখতে ভুলো না!আমিও ভুলবো না।
ছয়মাস পর অয়ন তার তিন নম্বর সংবর্ধনা নিতে হাজির হয় সর্বভারতীয় চারুকলায়, মিউজিয়ামে।বিদেশি সেই সংস্থা আলাদা করে অয়নের জন্য এক্সিবিশনের ব্যবস্থা করেছিলো।ওর সাতটা ক্যানভাসের সবটা জুড়ে সুধা।
শেষ ক্যানভাসে একটি মেয়ে একটি ছেলের বুকে মাথা রেখে পরম সুখে চোখ বুজে আছে,আর ছেলেটি ওকে জড়িয়ে রেখেছে আবেশে।
অনেকেই সেই আঁকা কিনতে চাইছে,কিন্তু এটা শুধুই প্রদর্শনীর জন্য।
সংবর্ধনা নিয়ে সবাই জানতে চায় এই উত্থানের রহস্য কি?
অয়ন জানায়,
- একটি মেয়ে আমায় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল,আর শিখিয়েছিল মুহূর্তকে কিভাবে ক্যানভাসে বন্দী করতে হয়।এই সবকিছু তারই।
অলক্ষ্যে সুস্মিতা মুখ লুকায়,অপরাধবোধে।
আর অয়ন চোখ বোজে
সুধা সেই একই ভাবে হাসছে!