দাগ
দাগ
- পার্টিতে তো তোমার একার ইনভিটেশন নেই? আমারও তো যাওয়ার কথা?
- ওহ, কেন বোঝোনা, এসব ব্যাপারে তোমার যাওয়াটা বেমানান।
- কেন? আগে তো আমার হাত না ধরে মি. মেহরা, মিস. স্মিতা- কারো পার্টিতেই যেতে না। এখন কি হলো? নাউ ইউ হ্যাভ আ প্রবলেম উইথ মাই ফেস রাইট?
- জাস্ট শাট আপ!
গটগট করে বেড়িয়ে গেলো অর্পন।
আয়নায় বসে মেকাপ রিমোভিং লোশন দিয়ে অনবরত নিজের গাল, ঠোঁট, চোখ ঘষতে থাকে শ্রী। নিজের চেহারা দেখে নিজেরই ঘেন্না আসে, অর্পনের রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক।
- মা তুমি কেঁদোনা! দেখো আমি তোমার জন্য কার্ড বানিয়েছি!
একটা কার্ডে শ্রী আর বুবুন একসাথে দাঁড়িয়ে। বুবুন কবে এতো সুন্দর আঁকতে শিখলো! আহ্লাদে বুবুনকে জড়িয়ে ধরে শ্রী। বুবুনও ওর শ্বেতী হওয়া গালে আদর করতে থাকে।
নিজের কেরিয়ারে এতো ব্যস্ত ছিল শ্রী যে বুবুনকে কোনদিন সময় দিতে পারেনি, আজ নিজের ভুল চিকিৎসার জন্য কষ্ট হয়- যার সাইড এফেক্টে ওর শ্বেতী হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আফসোস নেই৷ ওর বুবুনের ভালোবাসায় মনের দাগগুলো মিশে যেতে থাকে। সন্তানেরা যে রূপ দেখে ভালোবাসে না!