ইচ্ছে
ইচ্ছে
ছোটবেলায় জিজ্ঞেস করতো সবাই,বড়ো হয়ে কি হতে চাস?কেউ বলতো ডাক্তার,কেউ বলতো ইঞ্জিনিয়ার।আমি বলতাম পাখি হতে চাই।আকাশে উড়তে চাই।কি সুন্দর পাখিরা উড়ে বেড়ায় আকাশে।সবাই শুনে হেসে কুটিকুটি। ঘরে এসে মাকে বলতাম,পাখি হওয়ার ইচ্ছে কি খারাপ মা? মা শুনে বলতো , খারাপ কেন হবে। তবে কথায় আছে না, যে যেটা হয়,
সে সেটা হতে চায় না। হয়তো দেখ্, ওই পাখিগুলোরও ইচ্ছে, ওরা তোর মতো মানুষ হবে। আসলে আমাদের ইচ্ছের কোনো শেষ হয় না। একটা পূরণ হলেই অন্য ইচ্ছের দিকে হাত বাড়াই আমরা। সেদিন ছোট ছিলাম, মায়ের কথার তাৎপর্যটা ঠিক বুঝতে পারিনি।আজ বড়ো হয়ে অনুধাবন করতে পারছি, সত্যিই আমাদের ইচ্ছের কোনো শেষ নেই। আচ্ছা ইচ্ছে আর চাহিদার মধ্যে তফাত টা কি খুব সূক্ষ্ম? বোধহয় তাই। বড়ো হয়ে ভালো চাকরি পেলাম,ইচ্ছে হলো নিজের বাড়ি হবে, সেটাও হলো। তারপর ইচ্ছে হলো একটা গাড়ি হবে, সেটাও হলো।একে একে সব ইচ্ছে পূরণ হলো। কিন্তু কই তাও তো মনে হচ্ছে না যে, আর কিছু ইচ্ছে নেই। আর কিছুর চাহিদা নেই। সমাজবদ্ধ জীব আমরা। জাগতিক সব সুখ ভোগ করেও আমাদের চাহিদা পূরণ হয় না। আরোও কিছু পাবার ইচ্ছেয় নিজেদের উৎসর্গ করে দিতে পারি আমরা। তাও আমাদের ইচ্ছে অপূর্ণ ই থেকে যায়।