হ্যালো বিভ্রাট
হ্যালো বিভ্রাট


সকালবেলা...
পাপাই: হ্যালো ...
বাবাই: হ্যাঁ, কে বলছেন ? কাকে চাই ?
পাপাই: সকাল সকাল গাঁজা খেয়েছিস ? বন্ধুর গলার আওয়াজ চিনতে পারছিস না ? আমার সাথে আবার কবে থেকে আপনি আজ্ঞে করে কথা বলতে শুরু করলি ?
বাবাই: ও তুই। আসলে তোর আওয়াজটা কাকুর মতো শোনালো তাই…
পাপাই: আচ্ছা, ছাড় ওসব। মন দিয়ে শোন, আমার বাবা তোকে ফোন করে যদি কিছু জিজ্ঞেস করে তাহলে বলবি আজকে স্যারের পড়া আছে তোর শরীর খারাপ তাই তুই যাসনি। পুরো ব্যাপারটা তুই একটু ম্যানেজ করে নিস।
সমরেশ (পাপাইয়ের বাবা): হ্যালো...
বাবাই: আরে আবার কী হলো ? এই মাত্র তো ফোন করে সব বললি। আমি তোর বাবাকে বলে দেব যে আজকে স্যার পড়াবে। আমার শরীর খারাপ আমি তাই যাইনি।
হঠাৎ করে ফোনটা কেটে গেল।
সন্ধ্যেবেলা...
পাপাই: হ্যালো...
বাবাই: হ্যাঁ কাকু, আজকে স্যারের পড়া...
পাপাই: চুপ কর হতচ্ছাড়া। আমি কাকু নই, তোর বন্ধু। তোকে বলেছিলাম একটু ম্যানেজ করতে আর তুই দায়িত্ব নিয়ে পুরোটা ঘেটে দিলি?
বাবাই: আমি আবার কী করলাম ?
পাপাই: আর কিছু বাকী রেখেছিস ? বাবাকে তো সবটা বলেই দিয়েছিস।
বাবাই: কাকু কখন ফোন করল? আর তুই তো আমাকে একবার ফোন করে হ্যালো বললি আমি তোকে কতকিছু বললাম কিন্তু তুই কিছু উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দিলি।
এইবার পুরো ব্যাপারটা পাপাই বুঝতে পারল। এখানে বাবাইয়ের কোনো দোষ নেই সব দোষ ওই
" হ্যালো "-র। কখন যে বন্ধুকে বন্ধুর বাবা আর বন্ধুর বাবাকে বন্ধু বানিয়ে দেবে ধরতে পারবেন না।