হৃদয় দেওয়া
হৃদয় দেওয়া


১১ বছরের একটি ছোটো ছেলে। নাম তার রতন। ছোটবেলা থেকেই খুব শান্ত প্রকৃতির ছেলে। অন্যান্য ছেলেদের মতো সে জীবন অতিবাহিত করে। তার কাছে প্রকৃতি হল জীবন্ত সত্তা স্বরূপ। মাঝে মাঝে সে নিজের মনে গাছের সাথে, মাটির সাথে কথা বলে। সমাজের মানুষেরা রতনের মা-বাবাকে বলেন," তোদের ছেলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ভালো ডাক্তার দেখা।" সব দেখেশুনে রতনের মা-বাবার ভয় হয় তাদের ছেলেকে নিয়ে। কিন্তু রতন জানে প্রকৃতিকে সে ভালোবেসেছে। তার হৃদয় প্রকৃতির কাছে মেলে ধরেছে। বৃষ্টি পড়ে কিংবা ঝড় হয় তখন রতন আনন্দে আত্মহারা হয়ে নাচতে থাকে। বৃষ্টিতে ভিজে সে অনুভব করে প্রকৃতিও তার ভালোবাসা উজাড় করে দিচ্ছে প্রেমিক রতনের উপর। এইভাবে দিন যায় রতন বড় হতে লাগল। প্রকৃতি ও রতনের সম্পর্ক দৃঢ় হলো। অন্য ছেলেদের মতো রতনের জীবনে প্রেম এলো। সে ভাবলো হৃদয় দিয়েছে প্রকৃতিকে সেই হৃদয় কি কোনো মানুষকে দেওয়া সম্ভব? এসব কিছু কেউ বোঝেনা, বুঝেছিল রিনা। রিনা রতনকে বলল, " তোকে পুরো হৃদয় আমাকে দিতে হবে না। হৃদয়ের একটু অংশ আমাকে দিস এতেই আমি সন্তুষ্ট।" রিনা জানত রতনের এই ভাবনা সমাজের কাছে কোনো মূল্য নেই। কিন্তু সে উপলব্ধি করেছিল রতন যেভাবে প্রকৃতিকে হৃদয় দিয়ে ভালবেসেছে, ঠিক তেমনি তাকেও ভালবাসবে। ধীরে ধীরে রতনের রিনার প্রতি ভালোবাসা ও তার প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা যেন একাকার হয়ে যেতে লাগল।