হাসি রাশি
হাসি রাশি
মঙ্গলা ও মঙ্গলা তা বলি কানের মাথা খেয়েছো নাকি গো... বিপিনের গলায় সারা পাড়া গম গমিয়ে উঠলেও মঙ্গলা শুনতে পেলো কৈ? শুনতে পেলো না কারণ মঙ্গলা কালা... কিন্তু বিপিনের তা মনে থাকলে তো ! নিঃসন্তান দম্পতি বিপিন বিহারি ডোম আর মঙ্গলা রানী ডোম.. বিপিন ছোট থেকেই একটু হাবা গোবা আর কপাল করে বৌ ও জুটেছে কালা.. মানে রাজ জোটক আর কি অজ পাড়া গাঁ তে এক খানি খড়ের চাল দুটো গরু আর একটা ডোবা এই ওদের সম্পত্তি. যাই হোক এ সব নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই সমস্যা টা অন্য জায়গায়... গতকাল ওদের কুঁড়ে ঘরে এসেছে এক সনামধন্য বৈজ্ঞানিক প্রফেসর শঙ্কু...
পাঠক ভাবছো এ আবার কি হচ্ছে প্রফেসর শঙ্কু তো স্পেস সিপ্ নিয়ে উধাও হয়ে গেছিলেন কেউ বলে উনি মৃত কেউ বলে কোথাও লুকিয়ে আছেন... আসলে গল্পটা এখানে অন্য.. এই শঙ্কু সেই শঙ্কু নন ইনি হলেন শঙ্কু লাহিড়ী যিনি নিজের প্রখর বুদ্ধি ও বিজ্ঞান এর চৰ্চা র জন্য খুব কম সময়েই বিখ্যাত হয়েছিলেন ইসরো তে.... কিন্তু কিছু অর্থ পিশাচ ওনার ক্ষতি সাধন করার জন্য ওনার পিছনে লেগে যায়... ওদের হাত থেকে বাঁচতে শঙ্কু পালিয়ে বেড়াতে থাকে শেষে এই পাড়া গাঁ তে এসে আশ্রয় নিয়েছেন...
সারা গ্রাম ঘুরে বিপিনের বাড়ির কাছে যখন আসেন তখন শঙ্কুর অভিজ্ঞ চোখ এক দেখাতেই বুঝে যায় যে এ গ্রামে এদের থেকে সহজ সরল লোক আর নেই তাই কিছু ভাবে এদের বাড়িতে আশ্রয় পেলে পরবর্তী গবেষণার কাজ টা অনেক সরল হয়ে যাবে.. যেমন ভাবা তেমন কাজ শঙ্কু নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে বিপিনের বাড়িতে এসে ওদের পরিচয় দিলো যে তার নাম কালীচরণ বেহারা সে মঙ্গলা র মামাতো ভাই হয়, মঙ্গলা ছোট থেকেই মা হারা তাই মামা বাড়িতে তার কোনোদিন যাওয়া হয় নি সেখানে কে কে আছে সে তাও জানে না তবে সরল মনে তার এ বিশ্বাস মামাবাড়ি মানে মামা আছে মামা আছে যখন তার ছেলে ও আছে .. সহজ ভাবেই তার অচেনা ভাইটিকে সে আপন করে নিলো... হাবা বিপিন ও আধ বুড়ো বয়সে একটা সালা পেয়ে মহা খুশি... শঙ্কু মনে মনে ভাবলো আন্দাজে মারা ঢিল টা যথা স্থানে লেগেছে..
to be continued