হামি বিভ্রাট
হামি বিভ্রাট
“নমস্তে বেটা।”
“আমাকে বলছো?”
“হাঁ।"
“কি ব্যাপার?”
“বেটা হামি রপ্তার আগরওয়াল।”
“হামি!”
“জি হামি গরিব লোকের সেভা করি।”
“হামি দিয়ে সেবা! এ আবার কেমন কথা!”
“এটাই হামার কাজ।”
“হামি দেওয়া?”
“নানা, সেভা করা। আর এজন্য তুমাদের মত আম জনতার কাছে কিছু কিছু হেল্প নিই।”
“ওহো এবার বুঝেছি।”
“বুঝেছো? থ্যাংক গড। তা বেটা হামি…”
“আবার হামি! কি ভেবেছো কি ছোটো বাচ্চা হামি দিলেই ভুলে যাবে?”
“কি ভুল বেটা? আম লোগ আম লোগের সেভা করবে না তো কে করবে?”
“কি তখন থেকে আম আম করে যাচ্ছ বলোতো? এই গাছের সব আম আমাদের, দেখছোই তো এবছর বেশি আম ফলেনি এর মধ্যে তোমাকে দিলে আমরা খাবো কি?”
“আম চাই না বেটা, হামি…”
“আবার! দেখো ওসব যতই হামি খাও আমি ভোলার পাত্র নই।”
“কি মুশকিল… বেটা হামি বলেছিলাম কি যে…”
“কিচ্ছু বলতে হবে না, আমি তোমাকে আম দেবোনা কাজেই তোমাকে হামিও খেতে হবে না।”
“আরে…!”
“এতক্ষণে বুঝেছি তুমিই তাহলে সে।”
“কে?”
“যে কাল আমাদের পাঁচটা আম নিয়ে পালিয়েছো। আজ আবার বাকিগুলো নিতে এসেছো তাই না?”
“আরে নেহি রে… তুম বস রেহেনে দো। হামার তুমাকে দেখে আসাই ভুল হয়ে গেছে। হামি চললাম।”
“না!না! এত সহজে যাবে বললেই হলো? পাঁচটা আমের কি হবে?মা… ওমা…”
“কি রে বাবু?”
“কাল যে আম নিয়ে গিয়েছিল তাকে ধরেছি।”
“কই কই?”
“ওহ ম্যাডামজি…”
“তুমি কে বাপু? এ চত্বরে তো কোনোদিনও দেখিনি।”
“হামার নাম রপ্তার আগরওয়াল, হামি মহারাষ্ট্র…”
“মহারাষ্ট্র থেকে এসেছো আম চুরি করতে?”
“না ম্যাডামজি হামি…”
“হামি!”
“মা লোকটা আমাকেও শুধু বলছিল হামি দেবে বদলে আম দিতে হবে।”
“কি অসভ্য লোক রে বাবা! দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!ওগো কে কোথায় আছো শিগগির বেরিয়ে এসো… ”
“কি হয়েছে গো গুলতাই এর মা?”
“আরে! বিট্টুর মা জলদি এসো। আমার গুলটাই গতকালের আম চোরকে ধরেছে। এ আবার বলে কিনা হামি দেবে আমাদের।”
“হামি!”
কাদের পাল্লায় পড়লাম! এরা ডাকাডাকি করতে করতে হামি পালাই বাবা, নয়তো এরা হামাকে জুতো পেটা করে ছাড়বে। এতো পুরা পাগল মহল্লা। এখানে বাচ্চা কিডন্যাপ করতে আসাই ভুল হয়েছে হামার...
(সমাপ্ত)