গঙ্গা সাগর স্নান - ৩: অরিন্দমের গঙ্গা সাগর অভিজ্ঞতা
গঙ্গা সাগর স্নান - ৩: অরিন্দমের গঙ্গা সাগর অভিজ্ঞতা
এখন আমুল পরিবর্তন হয়েছে। মোবাইল টয়লেট ছাড়াও গত বছর থেকে ১০০০ অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। সেইসাথে অপর্যাপ্ত জলের এবং সেইসব টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য লোক নিযুক্ত করা হয়েছে। পাউচ প্যাকেটে পানীয় জলের ব্যাবস্থা, দোকানগুলোর সামনে আবর্জনা ফেলার জন্য প্লাস্টিকের ড্রাম, প্রতিদিন ব্লিচিং ছড়ান এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবছর প্লাস্টিক মুক্ত গঙ্গাসাগর মেলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সরকারি তরফে পদক্ষেপ ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা অবিরত নানা রকমের সেবামূলক কাজ করে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, বজরং দল ছাড়াও অনেক সংঘটন দরিদ্র ভোজন, ভোগের আয়োজন করে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ওয়াচ টাওয়ার ও সরকারি বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্র থেকে তীর্থযাত্রীদের নানাভাবে সাহায্য করা হয়। মাইকে বিভিন্ন পথ নির্দেশ, সরকারি নির্দেশ, সতর্কতা মুলক উপদেশ প্রতি নিয়ত রাষ্ট্রভাষা হিন্দি এবং বাংলাতে ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন লেন বা গলির বিভিন্ন রঙের আলো। বিভিন্ন গ্রুপে পুলিশ কর্মীরা ইউনিফর্মে অথবা সাদা পোশাকে মেলা প্রাঙ্গণে, সিবিচে, মন্দিরের চারপাশে ডিউটি করছে। স্থাপন করা হয় অস্থায়ী হাসপাতাল। আছে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিসেবা কেন্দ্র। কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম পসরা নিয়ে দোকান বসে। তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও থাকে। স্নান শেষেও কিছুদিন সেসব দোকান থেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সারা বছরের জিনিষ পত্র কেনা কাটা করেন। থাকে অস্থায়ী এটিএম, ইন্টারনেট কানেকশন এবং হাই পাওয়ার জেনারেটর। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিসেবার ব্যাবস্থা থাকে।