গিমিক - ৩
গিমিক - ৩




সম্মোহন পর্ব :
২০২০ এর প্রথম দিন সুমন আর অমিয় প্রিয়তমার ইভনিং শোয়ের একটা টিকিট কাটলো । নেটিজেনরা আগেই জেনে গিয়েছে তাই বছরের প্রথমদিনে হল উপচানো ভিড় ।
গোটা সিনেমায় তেমন কিছুই নেই কিন্তু শেষ সাতমিনিট সে কি চাঞ্চল্য ! সকলের প্রিয় তীর্থঙ্কর ফিরে এসেছে । এ কী করে সম্ভব ?
লোকে উত্তাল হতে লাগলো ক্রমশঃ । ডেলি ভিডিও , পোস্ট সবেতেই একটাই বিষয় কোথায় তীর্থঙ্কর বিশ্বাস ? সব মিডিয়াকেই প্রত্যাখান করতে লাগলেন ।
আশামতো একদিন মৃণ্ময় হালদারের ফোন পেলেন ।
" উমেশ কী খবর ? তীর্থকে কোথায় লুকিয়েছিলে ? "
" তোমার ফোনের অপেক্ষাতেই ছিলাম । লোকাবো কেন ? চিকিৎসা চলছিলো । এতদিনে সুস্থ হয়েছে । "
" আচ্ছা । তোমার কাছে এতদিন ছিলো ? "
" হ্যাঁ আবার কী ? "
" ওহো । তা ছাইভস্ম থেকে জীবন্ত করার কৌশল কীভাবে আবিষ্কার করলে ? "
" তার মানে ? "
" মানে তুমি খুব ভালোই জানো উমেশ চ্যাটার্জী । তীর্থ মৃত । লোককে বোকা বানানোর কৌশলটা কী বলো ? "
" আচ্ছা কৌশলটা বার করো তবে । বাই । "
মৃণ্ময় পাগল হয়ে উঠলো দর্শকের সামনে উমেশের মুখোশ খুলবে বলে । কিন্তু তার আশঙ্কা হলো লোক যদি তাকে সন্দেহ করে । সে তো নিজে তারা মারা যাওয়া ও সৎকারের সময় ছিলো না । শুধু প্রমাণ আছে হসপিটালের ডেথ সার্টিফিকেটের । কিন্তু তা যদি মিথ্যা হয় , কেবল হয় ধোঁকার টাটি ! কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছিলো না সে ।
অবশেষে একদিন পাবলিক ফোরামে ইন্টারভিউ দিতে রাজি হলেন উমেশ চ্যাটার্জী । ফোরামে ছিলেন তীর্থের দুই বন্ধু ও মৃণ্ময় হালদার ।
প্রথম প্রশ্ন এলো , " মিস্টার বিশ্বাস কোথায় এখন ? "
" উনি আছেন ঠিক জায়গায় সুস্থ । সময় হলে সামনে আসবেন । " আরও একই রকমের প্রশ্নের উত্তর দিলো উমেশ । হঠাৎ মৃণ্ময় চেঁচিয়ে উঠলো , " তীর্থঙ্কর বেঁচে থাকতে পারে না উমেশ , ওর লিভারের ক্যানসার হয়েছিলো লাস্ট স্টেজ । পাবলিককে ধোঁকা দিচ্ছ কেন ? "