বন্ধন মুক্তি
বন্ধন মুক্তি
—টুটুল তুই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার আগে একবার ভালো করে ভেবে দ্যাখ মা।
—না মা আমি অনেক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি শুভর পাঠানো ডির্ভোস ফর্মটাতে সই করে দেবো।
—একসাথে থাকতে থাকতে সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।
—তুমি ঠিকই বলেছো মা। আমিও তাই ভেবেছিলাম আর সেইজন্যই দুবছর ধরে অপেক্ষা করেছিলাম ওই বাড়িতে। কিন্তু ওর কোনো পরিবর্তন নেই। আমিও ভেবেছিলাম ওকে ছেড়ে চলে এলে ওকে হারিয়ে ফেলবো। কিন্তু এতদিনে আমি বুঝে গিয়েছি যে ওতো কোনোদিনই আমার ছিল না আর কোনোদিন আমার হতোও না। তাই যা আমার নয় তাকে হারানোর ভয়ে ওকে শুধু শুধু কষ্ট দিয়ে কি লাভ। ও কোনোদিনই আমার বন্ধন চায়নি তাই ওর পাঠানো ফর্মটাতে সই করে আমি ওকে মুক্তি দিতে চাই।’
—মিলির মা মেয়ের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললেন এই দুইবছরের ঘাত-প্রতিঘাতে তার মেয়েটা হঠাৎ বয়সের তুলনায় একটু বেশিই বড় হয়ে গিয়েছে।