স্ত্রী ও প্রেমিকা শিল্পী দত্ত
স্ত্রী ও প্রেমিকা শিল্পী দত্ত
আজকে ভোরে ঘুম ভাঙতেই তনিমা দেখল টেবিলের উপর একটা চকলেটের বাক্স, একটা লাল গোলাপ আর একটা গিফ্ট প্যাকেট। বুঝতে একটুও অসুবিধা হল না তার যে ওগুলি তার জন্যই আনা হয়েছে। বিছানা ছেড়ে নামবে ভাবছে ঠিক তখনই সুমন পাশ ফিরে তার কপালে একটি চুম্বন এঁকে দিয়ে বলল ‘তনি তোমাকে প্রথম বিবাহবার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’ তনিমাও প্রত্যুত্তরে সুমনকে শুভেচ্ছা জানালো। সুমন তনিমাকে আরেকটু নিজের কাছে টেনে নিল, এরমধ্যেই শুনতে পেল শ্বাশুড়ী মার ডাক ‘বৌমা স্নান সেরে নিচে এস সুমুকে নিয়ে আজ তোমাদের জন্য বিশেষ পূজা রেখেছি।’ এই ডাকে অনিচ্ছাস্বত্তেও দুজনকে বিছানা ছাড়তে হল। সুমন গিফ্টগুলি তনিমার হাতে দিয়ে বলল ‘এইগুলি সবই তোমার জন্য আর প্যাকেটটার মধ্যে তোমার প্রিয় নীল রং এর একটা চুড়িদার আছে, আমি চাই আজকে তুমি এটা পরবে আর আমরা বাইরে কোথাও ডিনারে যাব, শুধু তুমি আর আমি।’ তনিমা খুশি হয়ে মুচকি হেসে স্নানে চলে গেল।
স্নান সেরে নিচে নেমে এল তনিমা। শ্বাশুড়ী মা জিজ্ঞাসা করলেন ‘কি গো বৌমা সুমু কোথায়?’ তনিমা উত্তর দিতে গিয়ে দেখল সুমন সিঁড়ি দিয়ে নামছে বলল ‘ঐ যে মা আপনার ছেলে এসে গেছে।’
বিশেষ পূজা শেষ হওয়ার পর সুমন ও তনিমা গুরুজনদের আশীর্বাদ নিল। সুমনের মা তনিমার হাতে একটি লাল ঢাকাই জামদানি আর একসেট ভারী গয়না দিয়ে বললেন ‘বৌমা বিকালে এই শাড়ীটা ও সব গয়না পরবে। আজ তোমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী, আমি তোমাদের সারপ্রাইজ দেব বলে তোমাদের না জানিয়ে সব আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করেছি ডিনারের জন্য।’
মায়ের এই কথায় সুমন সত্যি সারপ্রাইজড্ হল এই ভেবে যে মা নিজের ছেলের বৌয়ের আড়ালে তার পাঁচ বছরের প্রেমিকাটিকে পাল্টে দিল। আর তনিমা মনে মনে হেসে বলল ‘বিয়ের পর মেয়েরা শুধু স্ত্রী হয়েই থেকে যায় তাদের আর প্রেমিকা হওয়া হয় না।’