Yagnasani Mukherjee

Abstract Crime Thriller

4.0  

Yagnasani Mukherjee

Abstract Crime Thriller

black widow (মাকড়সা রহস্য)

black widow (মাকড়সা রহস্য)

9 mins
238


রিধিমা, নীপা, বিনা আর আইডা একই অফিসে চাকরি করতো চাকরি সূত্রে তাদের আলাপ হলেও তারা একই গেষ্ট হাউসে থাকে আর সব জায়গায় একসাথে ঘুরতেও যায় ।

অফিসে বসে লাঞ্চ করতে করতে তারা আলোচনা করছিল যে এই বারের পঁচিশে ডিসেম্বর এর ছুটিটা তারা কোথায় কাটাবে , হটাৎ একটি নতুন মেয়েকে তারা অফিসে দেখতে পায় যথারীতি তারা তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু করে তাদের মধ্যে সেই মেয়ে তাকে নিয়ে জানার আগ্রহ বারে। মেয়ে টা সোজা বসের ঘরে চলে গেলে,তারাও তার পিছু পিছু যায় সেখানে । অনিন্দ্য বাবু কে তারা খুবি স্নেহ করে ফলে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ধরা পড়লেও তাদের কিছুই বলবেনা। তারা দেখে মেয়েটি অনেকক্ষন ধরে অনিন্দবাবুর সাথে কি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে । তারপর সে বেরিয়ে আসে, তাকে দেখে বিনা একটু চমকে যায় তারপর তারা তাকে ঘিরে তাদের সব প্রশ্ন একে একে করতে থাকে। মেয়ে টা তাদের সাথেই লাঞ্চে বসে । সে বলে সে এসেছে ইস্ট সিকিমের থেকে , বাড়ি জুলুক নামক একটি এলাকায় কোথায় কোথায় মেয়েটি বলে তার আসলে কিছু দিনের জন্য তার শহরে ফেরার দরকার কিন্তু তাকে ছুটি দেওয়া হচ্ছেনা সামনেই কোম্পানির হলিডে তখনই একেবারে বাড়ি যেতে। কিন্তু সেরম টা করলে তাকে ফিরতে হবে একা কারণ তার বাবা মা ফিরে যাবে আজ রাতের ট্রেনেই।


নীপা তাকে তার নাম জিজ্ঞেস করতে সে বললো -"মেহুল" । ভারী মিষ্টি দেখতে যেমন শান্ত মুখশ্রী, তেমনি ধীরস্থির তার চলন লম্বা ঘনো স্ট্রেট চুল , দোহারা লম্বা চেহারা ঠোঁট জোড়া যেনো গোলাপের পাপ্রির মত । রিধীমা একটু উৎসাহী হয়ে প্রশ্ন করলো "আচ্ছা ওখানে কাছে পিঠে কোনো টুরিষ্ট স্পট আছে?"

- "হ্যাঁ আছে তহ ওখানেই তো আছে সিল্ক রুট , কত সুন্দর একটি মন্দির , কাচেই আরো অনেক স্পট আছে কেনো গো তোমরা কি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছ নাকি তোমরা?"

- হ্যাঁ গো ! কিন্তু কিছু ভেবেই পাচ্ছিনা কোথায় যাবো।

একটা কাজ করলে হয় না তোমার বাবা মা আজ চলে যাক আমরা যাবো তোমার সাথে।

সবাই এক পায়ে রাজি।

তারা অফিস ছুটি হবার পর সবাই ব্যাগ গোচাছিল বাড়ি ফিরবে রাত 8 টা বাজে সবাই একে একে বেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মেহুল কে ত তারা দেখতে পেলনা সে কি তবে তাদের আগেই চলে গেছে ?

বাড়িতে ফিরে এসে নীপা গরম জলে স্নান সেরে জামা কাপড় বদলে ড্রইং রুমে সবার সাথে আড্ডা দেওয়া শুরু করলো বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আজ ঝিরঝির করে হলেও পড়ছে শীতে বৃষ্টি মানেই ঠান্ডা বাড়বে । আইডা কটা সিঙ্গারা কিনে এনেছিল ফেরার পথে । চা সিঙারা খেতে খেতে বিনা ট্রেনের টিকিট টা কেটে ফেলল ।


এমন সময় রিধিমা বলে উঠলো মেহুল কিন্তু আমাদের বেশ উপকারই করলো । ব্যাগ ট্যাগ আগে ভাগই তারা সেই রাতে গুছিয়ে রাখলো কারণ রোজই অফিস কবে কি হবে তার চেয়ে কাজ গুছিয়ে রাখা ভালো ।


যথারীতি পরের দিন তারা অফিসে যায় । গিয়ে তারা জানতে পারে পুসুরাম আজ ভোর বেলা মারা গেছে কোনো এক অজ্ঞাত মাকর্সার কামড়ে সারা শরীর তার নীল হওযায় ডাক্তার বুঝতে পারে সেটা বিসাক্তকর । সবারই মনের অবস্থা খুব খারাপ থাকাই করুরি কাজে মন বসে না পৈতিরিস বছর ধরে এই কোম্পানিতে তিনি কাজ করছেন অনিন্দ্য দার বাবা তাকে এই কাজে এনেছিল তেনার গত হবার পর তিনি অনিন্দ্য দা কে কাজ সেখান আজ এরম তার হটাৎ মৃত্যু তে অনিন্দ্য দাও ভেঙে পড়েছে বলতে গেলে।


নীপার কটা ডিজাইন করা পেন্ডিং থাকাতে তাকে আজ একটু বেশি ক্ষণ অফিসে থাকতে হয় বাকি সবাই বেরিয়ে যায় শুধু দারোয়ান আর নীপা । নীপা কাজ সেরে বেরোতেই যায় তখনই দেখতে পায় হটাৎ মেহুল তাকে দেখে একটু আশ্চর্যই হয় সে। প্রশ্ন করলেও তাকে উত্তরটা ঠিক তার মনের মত পায়না। তাকে জিজ্ঞেস করার সে জানায় সে অনিন্দদার ঘরে ছিল কটা ফাইল রাখতে গেছিলো তখন অগোছালো টেবিল দেখে সে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে গিয়ে তার সময়ের হুস থাকেনা । সে চলে যাওয়ার পর সব বন্ধ করে দারোয়ানের হতে চাবিটা দিয়ে ফিরে যায় বাড়িতে।

মনে একটা খটকা থেকেই যায় নীপার।


রাতে ট্রেন সব গোছগাছ হলে গেছে। হাওড়া স্টেশনে তারা ট্রেনের অপেক্ষা করেছে। ট্রেন ঢুকলো প্রায় ৯:৫৮ তে । ট্রেনের সিট খুঁজে তারা লাগেজ গুলো তুলে ব্যাঙ্ক টা নামিয়ে যে যার সিটে উঠে শুয়ে পড়ে । রিনিতা একটু পরেই ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু নীপার মনে সেই দিনের খটকা টা রয়েই যায় , চোখ তুলে ওপরের সিট টার দিকে তাকালো একটু মেহূল এর শরীর টা আগের তুলনায় আজ একটু বেশি রোগা লাগছে এই দিন কয়েক আগেই তার চেহারা টা এতটা খারাপ তহ ছিলোনা। এইসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে সে অজান্তেই ঘুমিয়ে পরে ভোর বেলা তার ঘুম ভাঙ্গলো আইডার ডাকে। বাইরে ঘনো মেঘ আর তার সাথে শুরু হয়েছে চরম বৃষ্টি, তুষার বৃষ্টি । তারা সবাই ট্রেন থেকে নেমে শুরু করলো হাঁটা । একটা গাড়ি ডেকে তারা সেটায় করে পৌঁছালো জুলুক , যদিও বৃষ্টি টা থেমেছে কিন্তু রাস্তা ঘাট প্যাচপ্যাচে করছে কাদায়, ঠিক রাস্তা বলা চলে না , যাকগে যাই হোক মেহুলের বাড়ির লোক তাদের অতিথি অ্যাপায়ন টা বেশ ভালই করেছে। জামা ছেড়ে তারা তাদের ঘরে ঢুকে পরলো রিধিমা আর নীপা একটা ঘরে আর বিনা আর আইডা । মেহূলের বাবা নেই । মা ও তার এক মাসতুত দাদা আছে ।

নীপার বেশ ভালো লাগে ছেলেটিকে । তারা একসাথে বসে চা খাচ্ছিল এমন সময় নীপার ফোন টা বেজে ওঠে । ওপরের কথা গুলো শুনে নীপার হাত থেকে ফোন টা পড়ে যায় । "অনিন্দ্য দা আর নেই " ,

- "মানে কি বলছিস টাকি তুই নীপা" বিনা কাতর স্বরে প্রশ্ন করলো তাকে

- কাল বিকালেই নাকি তাকে একটা মাকড়সা কামড়ে দিয়েছিল বাড়াবাড়ি হাওয়াতে হাসপাতলে নিয়ে যায় । তার পর সব শেষ।


সবাই মুসরে পরলো । কারুর আর খাওয়া র প্রতি ইচ্ছা রইলনা । এ এক অদ্ভুত মাকড়সা দেখা দিয়েছে দুইজন চেনা জানা লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া টা কি সহজ নাকি। সবাই ঘরে ফিরলেও নীপা বাইরের খোলা বাগানে একটা কোনায় গিয়ে বসে বসে ভাবতে লাগলো সেই দিন গুলোর কথা অনিন্দ্য তাকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিল । পুসুরাম রামের সেই ঠাট্টা করা কাজ শেষে কখনো কখনো তাদের সিঙ্গারা আর মালাই চা খাওয়ানো। ভাবতে ভাবতে একটা খুব মিষ্টি সুর কানে ভেসে এলো বেহালার শব্দ । সামনে তাকাতেই দেখে রায়ান বেহালা বাজাচ্ছে খুব করুন কিন্তু মিষ্টি সুর।

- তুমি এখানে

- হ্যাঁ ওই একটু প্রাকটিস করছিলাম আর কি!

- খুব মিষ্টি সুর টা।

- আমার মা এই সুর টা গুন গুন করতেন ছোটো বেলায় শুনেছি দু একবার ।

- দু এক বার?

- হ্যাঁ মা গত হয়েছে প্রায় বছর দশ আগে । মাকড়সার কামড়ে । এখানে তেমন চিকিৎসা ভালো নয় । শেষ রক্ষা হয়নি।

- আর বাবা ?

- তিনি চাষের জমি দেখে আসেনা এখানে মা মারা যাওয়ার পর কেউ জানে না সে থাকে কোথায় ।

রায়ান শিক্ষিত এক যুবক উচতায় 5'8" হবে । এখানেই থাকে তার মাসীর সাথে। টুরিষ্ট দের দেখা সোনা করে ।

নীপা ঘরে ফিরে জানায় রায়ানের মাও একই ভাবে মাকড়সার কামড়েই মারা যায় এখনে নাকি মাকড়সার খুব উৎপাত । খুব অস্বাভাবিক কিছু নয় এটা কিন্তু কলকাতায় ? বলেই থেমে গেলো নীপা । কিন্তু এই মাকড়সার টা কি এমন মাকড়সার যা এত বিষ বহন করে ।

রিধীমা তার ফোন টা বার করে উইকিপিডিয়া খুলে একটু মাকড়সার সমন্ধে জানার চেষ্টা করে । নীপা রায়ান কে জিজ্ঞেস করে সে কি জানে কি মাকড়সার কামড়ে তার মা গত হন।

রায়ান জানায় একটা কালো মাকড়সার পেট এর কাছ টা বেশ বরো ডেয় মাকড়সার মত ।

একটু তথ্য ঘেঁটে যা জানা যায় মাকড়সা টি হলো ব্ল্যাক উইডো , ব্ল্যাক বিষাক্ত হয় এরা পুরো কুচকুচে কালো আর পেটের কাছে মোটা মত হয় । মেহুল দরজার আড়াল থেকে সব টা শুনে ভেতরে এসে জানায় এখানে তহ তেমন মাকড়সা আছে সে দেখেছে এক দুবার ।

তারা পরের দিন ভোর বেলা সিল্ক রুট দেখতে বেরোবে রায়ান নিয়ে যাবে তাদের । বেশ একসাইটেড তারা । রাতের দিকে তীব্র ঠান্ডা দুটো কম্বলেও টা কাটানো যাচ্ছেনা একটা ছোটো ফায়ার প্লেস আছে ঘরে সেটায় একটু আগুন ধরালো রিধিমা । নীপা আনমনে বসে বসে কি যেনো ভাবছে। হটাৎ একটা কালো কুচকুচে মাকড়সা দেওয়াল বোয়ে নীপার মাথার কাছে আসতে দেখে রিধিমা একটা জুতো খুলে ছুড়ে মারে । জ্ঞান ফেরে নীপার মাকড়সা টা ছিটকে পরে বাইরে ।

তারা তাড়াহুড়ো করে বাইরে গেলেও আর সেটিকে দেখতে পায়না । এতই কালো সে যেকোনো জায়গায় মিশে যেতে পারে।

একটা মশারী খাটিয়ে রাত টা কাটালো তারা। সক্কাল বেলা রায়ান তাদের তুলে দেয় 2 টো করে সোয়েটার পড়ে মজা পরেও তাদের শীত কাটছেনা । প্রায় 1 ঘণ্টা পর তারা সিল্ক রুটে পৌঁছালো সুয্যি মামা টুকি টুকি খেলছে সারি সারি অনেক গুলো রাস্তা দেখা যাচ্ছে নীচের দিকে বরফের ঢাকা হলেও তার বিবরণ দেওয়া যায়না এত অপূর্ব দৃশ্য এটা । রোদের ঝিলিক পড়ছে রিধিমার চোখে একটু পর তারা বাড়ি ফেরে। খুব ফুরফুরে মন তাদের সাথে সুপি নুডুলস মেহুলের মা


মেহুল হেলতে দুলতে ঘুম থেকে উঠে এসে বসলো খাবারের টেবিলে । মেহুলের হাতের পঞ্জা টায় একটা কালসিটে পড়েছে নীপা জিজ্ঞেস করতে সে বললো বাথরুমে এসে কাল নাচ করতে গিয়ে হাত টা ঠুকে ফেলেছে । কথা টা শুনে বাকি সবাই হেসে ফেললো কিন্তু রিধিমা আর নীপার হাসি এলোনা সম্মতি জানাতেই তারাও হাসলো তবে জর করে।

- ব্যাপার টা খুব ফিশি রে নীপা । কালকের ঘটনা টা আর আজ মেহুলের আজ হাতে চোটের দাগ টা কি কোনো যোগ আছে না সবটাই কাকতালীয়।

- ঠিক জানিনা রে । তুই কি সন্দেহ করছিস বলতো

এটা বলিস না একটা গোটা জ্যান্ত মানুষ মাকড়সাতে পরিবর্তন হয়ে কাল আমাদের ঘরে এসেছিল।

- আচ্ছা তেমন টা যদি হয়

- এরম টা সম্ভব নাকি ধাত কি যে বলিস না।

রিধিমা থাকে তক্কে তক্কে । ঠিক রাতে আরো এক বার সেই মাকড়সা আসে তাদের ঘরে তবে এবার বাথরুমের জানলা বেয়ে রিধিমা তাকে দেখতে পেয়ে তাকে একটা কাঁচের বোতলে আটকে ফেলে । এক হাকে সবাই কে জড়ো করে সেখানে । সকলে উপস্থিত হলেও মেহুল কে তারা দেখতে পায়না । তার মা ছুটে এসে জানায় মেহুল ঘরে নেই ।

জলের মত পরিস্কার হয়ে যায় ব্যাপারটা । মাথায় বাজ ভেঙে করে নীপার তবে কি তার আশঙ্কাই ঠিক । মেহুল কি তবে মাকড়সা?

রিধিমা বোতল তাকে একটু আগুনের কাছে নিয়ে যেতেই সে ছটপট করতে থাকে । বিনা বুঝতেই পারেনা কি হচ্ছে সেখানে । শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে এর পর বোতলের ঢাকনা টা খুলে ছুড়ে ফেলে দেয় মাকড়সা টিকে মাটিতে ছিটকে পড়ে সে । কিছুক্ষণের পর সে তার আসল রূপ ধারণ করে । সবার চোখ কপালে উঠে যায়। মানুষ কিনা মাকড়সা ।

নীপা তার প্রশ্ন বান ছুড়ে দেয় তার দিকে । উত্তর টা যদিও সবার কাছেই ছিল খুব অপ্রত্যাশিত । মেহুলের বাবা আর কেউ নয় অনিন্দ্য দার বাবা রমেশ বারুই । সিকিমের একবার ঘুরতে এসে মেহুল এর মা কে তার মনে ধরে । তাদের ঘনিষ্ঠতায় তার মা প্রেগনেন্ট হয়ে যায় । তিনি কলকাতা ফিরে যায় । পরে যখন সে জানতে পারে এই ঘটনা তখন অনেক টা দেরি হতে গেছিলো ন মাসের অন্তরসত্তা সে তখন তিনি তাকে মেরে ফেলার এক ফন্দি আটে একটা বিলিতি মাকড়সা ছেড়ে দেয় তার ওপর । কিন্তু তার মা বেঁচে যায় সৌভাগ্য বসতো কিন্তু মেহুল সাধারণ জীবন পায়না । সে মাকড়সার মত হতে পারত এটা সে ছোটো বেলায় বুঝতে পারে । মেহুল তখন খুব ছোট সে জানতে পারে এই পুরো ঘটনা এবং এটাও জানতে পারে তার মাসী এই নোংরা কাজে জড়িত ছিল সেই লোকটাকে তার মাকে মারতে সাহায্য করে। এটা জেনে সে স্থির না থাকতে পেরে তাকে মেরে ফেলে এটাই তার প্রথম হত্যা।

পরে সে কলকাতা পৌঁছায় তার বাবার কাছে তাকে সে যখন স্নান করছিল তখন শেষ করে ফেলে ।

তার পর পুসুরাম সব টা জানতে পারে বলে তাকেও মেরে ফেলে সে । সব শেষ অনিন্দ্য , অনিন্দ্য র কাছে সে যায় তার মায়ের হকের সম্পত্তি চাইতে সেটা না দেওয়ায় সে তাকেও মেরে ফেলে।

- অনেক নিরীহ লোকের প্রাণ ও তুমি নিয়েছ মেহুল অনিন্দ্য কোনো দোষ করেনি না করেছিল পুসুরাম । তারাও তোমার হাতে বলি হোয়েছে । কাল হয়ত নিপাকেও !

সবাই অবাক হয় তার এই কথায়। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেলেও কোনো লাভ হবেনা তাতে সে মাকড়সা হতে পারে। তাকে কি করা যায় ভাবতে ভাবতেই সে নিজেই কখন মাকড়সা হয়ে পালিয়ে যায় সেখান থেকে। তার পর আর দেখা হয়নি মেহুল এর সাথে তারা ঘুরে বেড়িয়ে কলকাতা ফিরে আসে তবে এই অনুসন্ধান আর এই ঘটনা টা সবার মনে এক গভীর দাগ কেটে যায়।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract