ouiza board
ouiza board
কলেজে কেমিস্ট্রি লাবে এক্সপিরিমেন্ট করছিল
রুকমিনি
। নভ্য পিছন থেকে এসে রুকমিনির কানে জোরে কুঃ করে চেঁচিয়ে পালিয়ে যায় ঘর থেকে , হাত থেকে তার টেস্ট টিউব টা পরে ভেঙে যায় । সঙ্গে সঙ্গেই তাকে টিচার শাস্তি স্বরূপ ডিটেনশন দেয়।
রুক্মিণী বাইরে বেরিয়ে যায় কারণ তর্ক করলেও কোনো লাভ হবেনা । নভ্য রুকমিনি কে কাঁদতে দেখে একটু খারাপই লাগে তার একটু মজাই সে করতে চেয়েছিল তার তহ সেরম কাজ ছিলোনা তখন টাই আর কি । ডিপার্টমেন্ট অফ কেমিস্ট্রির সিনিওর রিসার্চ এর স্টুডেন্ট নভ্য । যেমন ভালো মাথা তেমন সুন্দর দেখতে নভ্য কে । রুকমিনির ব্যাগ টা নিজের কাধে নিয়ে হাত টা ধরে রুমে নিয়ে গেল তার। হোস্টেল টা তখন ফাঁকা কেউ নেই সবাই ক্লাস এ ব্যাস্ত । ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । রুমাল দিয়ে তার চোখ মুছে দিলো নভ্য । "আর কাঁদিস না"..... । চোখ মুছে রুকমিনি বললো "কিন্তু আজ যে ল্যাবে ইম্পর্টেন্ট এক্সপায়ারিমেন্ট ছিল সিলভিয়া মাম নোটস দিচ্ছিল যে"।
নভ্য তাকে একটা মোটা ডাইরি দিয়ে বললো সব কাজ এখানে আছে তোর কোনটা লাগবে দেখে নে।
পাতাটা পালটাতে পালটাতে তার এক্সপিরীমেন্ট টা পেয়ে গিয়ে একটু শান্ত হলো । নভ্য ঘর থেকে বেরোনোর আগে ফিরে তাকালো রুকমিনির দিকে । একলা তাকে ফেলে যায় কোথায় সে । রুকমিনি তার অ্যাপ্রণ টা ছেড়ে ব্যাগের পিছন থেকে উইজা বোর্ড টা বার করে অঝোর ঝরে কাঁদতে লাগলো।
এক বৃষ্টির রাতে নভ্য এই বোর্ড টা নিয়ে আসে সে এইসব এ কোনো দিন বিশ্বাস করতোনা । মজার ছলেই তারা এটা খেলে এক ভয়ানক আত্মা কে তারা ডেকে বসে। রুকমিনির জীবন প্রায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল নভ্য তাকে আটকাতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়ে বসে। রুকমিনির জীবনের নভ্য ছাড়া আর কেউ নেই ।সে আবার সেই খেলা দিয়েই নভ্য কে এই পৃথিবী তে আনে
অনেক টা সাহস করে রুকমিনি মাটিতে বোর্ড টা পেতে খেলা শুরু করে একাই তাকে যে নভ্য কে মুক্তি দিতে হবে তাকে এই পৃথিবীর মায়া থেকে মুক্তি না দিলে তার যন্ত্রণার অবসান ঘটবেনা ।