ভূতের রহস্য
ভূতের রহস্য
একদা একসময় 'চন্দননগর' বলে একটি গ্রাম ছিল। সেই গ্রামে একটি বড়াে বাড়ি ছিল। গ্রামের মালিক ছিলেন। বিজ্ঞানী রতন রায়। তিনি ছিলেন একজন মহাবিজ্ঞানী। ৩৫ বছর বয়সেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সবাই | ভাবত তিনি মারা গেছেন। যে দিন থেকে নিখোঁজ হন, সেই দিন থেকে রাত্রিবেলায় কেউ যদি তার সেই বাড়ির পাশ দিয়ে যেত তখন তারা কেমন একটা আওয়াজ শুনতে পেত। গ্রামের অধিবাসীরা ভাবত এটা মনে হয় সেই রতন বাবু মরে গিয়ে ভূত হয়ে তাদের ভয় দেখাচ্ছেন। তাই গ্রামের অধিবাসীরা সঙন্ধে হলে ঐ বাড়ির পাশ দিয়ে যেত না।
এইভাবে দিন কাটতে লাগল। দুবছর কেটে যাওয়ার পর সেই গ্রামে সুদাম বলে একজন এল। সে ঐ গ্রামে নতুন, গ্রামের কিছুই চেনে না। কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর সে গ্রামের প্রায় সব কিছুই চিনে নিল, তার | এক বন্ধুর কাছ থেকে। সুদাম একদিন সেই রতন বাবুর বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে চাইল। কিন্তু তার বন্ধু তাকে বাধা দিল। তার বন্ধু বলল - 'সেখানে নাকি ভূত আছে, কিন্তু সুদাম মানতে চাইল না। সে বলল - ভূত বলে কিছু হয় না। সুদাম খুব সাহসী ছিল।
সুদাম একদিন রাতে একহাতে মশাল ও অন্য হাতে একটা লাঠি নিয়ে ঐ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করল। প্রবেশ করেই সে শুনতে পেল এক ভয়ানক আওয়াজ। সে থমকে উঠল। আবার সুদাম এগােতে লাগল। তখনি সে দেখল টেবিলের উপর একটা গ্লাস আপনা আপনি নড়ছে। তখন সুদাম জোর গলায় বলল কে ওখানে? হঠাৎ একটা কাগজ ও একটা পেন আপনা আপনি এল। পেনটা কাগজের উপর আপনা আপনিই 1. | লিখতে লাগল এবং সুদামকে দেখাল ঐ কাগজে লেখা ছিল - 'আমি বিজ্ঞানী রতন রায়। একটা ওষুধ খেয়ে 1. আমি অদৃশ্য হয়েছি। তুমি আমার জন্য নিমপাতা ও করলা আনতে পারবে ? সুদাম জিজ্ঞাসা করল 'তুমি নিজেই কেন এসব জিনিস আনে না?' তখন সে আবার লিখে দেখাল - 'এই ওষুধটি খাওয়ার পর আমি কেন বাইরের জিনিস ধরতে পারি না। এই ওষুধটি আমি বানিয়েছি।
পরদিন সকালে সুদাম বাজার থেকে নিম ও করলা এনে অদৃশ্য রতনকে দিল। ওটা খাওয়ার পর রতন দেখা দিতে লাগল। সুদাম বিজ্ঞানী রতনকে বাইরে নিয়ে এল। রতনকে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেল। সুদাম | গ্রামবাসীদের বলল - "ইনি হলেন বিজ্ঞানী রতন রায়। একটি ওষুধ থেয়ে তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছিলেন। উনি 1. কথাও বলতে পারছিলেন না। আমি ওনাকে নিমপাতা ও করলা দেওয়ায় উনি ঠিক হলেন।" গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করলেন ‘ঐ রকম আওয়াজ তাহলে কে করত ?' রতন বলল
তখন আমি কথা বলতে পারতাম না। তাই ঐ রকম আওয়াজ করতাম।