SUBHAM MONDAL

Abstract Horror

1.4  

SUBHAM MONDAL

Abstract Horror

শাড়ির ভূত

শাড়ির ভূত

3 mins
676


একটি পরিবার ছিল যারা খুব ভদ্র ও ভালােমানুষ। এই বাড়িতে ঢারজন লােক বাস করত। মানসীর বাবা, মা ও তার | বােন। মানসী একজন ছেলেকে ভালবাসত যার নাম রাহুল। এই কথা তার বাবা জানতে পারে এবং সে জানতে চাইল তার বাড়ি কোথায়। আমি ওর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই তােমার বিয়ের ব্যাপারে। মানসী বলল সাত্য বাবা। ই্যা, আমি অন্য বাবাদের মতো নই যে তার মেয়েদের সুখ কীসে, অসুখ কীসে আছে দেখে না। মানসীর বাবা বললাে কলকেই ওর বাবা-মাকে আসতে বলবে বিয়ের কথা পাকাপাকি করার জন্য। সকালে রাহুলের বাবা মানসীদের বাড়ি এলাে এবং ওরা খুব সহজেই বিয়ের প্রস্তাব মেনে নিল। মানসী ও রাহুল দুজনেই অনেক খুশি হল। এবার রাহল ও মানসী দুজনে লেহেঙ্গা কিনতে গেল, কোনাে দোকানে লেহেঙ্গা তাদের পছন্দ হয়নি। তখন রাহুল শেষ সময়ে বলল আমার বন্ধুর একটি ও দোকান থেকে লেহেঙ্গা কিনেছিল সেটা খুব ভালাে ছিল।


মানসী বলল, তাহলে চলাে ওখানে যাই। রাহুল ও মানসী বলল, কেউ আছেন। তখন তাদের সামনে একটা বুড়াে হাজির হলাে। তার বয়স প্রায় নবই-এর কাছাকাছি। রাহুল ও মানসী তার চেহারা দেখে ভয় পেয়ে গেল। রাহুল বলল, চলাে মানসী এখান থেকে চলাে। মানসী বলল থামাে। মানসী ঐ বুড়াে লােকটাকে বলল আমাকে একটা লাল লেহেঙ্গা দেখান'। সেটাকে দেখে মানসী বলল “আমি কি এটা পড়ে দেখতে পারি। লােকটাকে বলল ‘হ্যা' মানসী লেহাহা পড়তে গেলে হঠাৎ লাইন চলে গেলাে। তাও অদ্ধকারে লেহেঙ্গাটি পড়ল মানসী এবং মানসী নিশ্চিন্ত হল যে বিয়ের সময় আমি এটাই পড়ব। রাহুল বলল এটার দাম কত ? লােকটা বলল যা দেবে তােমরা রাহুল তাকে ৫০০০ টাকা দিল। মানসী ও রাহুল যখন বাড়ি ফিরল, তখন মানসী বলল মা দেখোে আমি কী সুন্দর লেহেঙ্গা নিয়ে এসেছি। আমি বিয়ের সময় এটাই পড়ব। এই বলে মানসী তার রুমে চলে গেল এবং সে ঘুমিয়ে গেল। তারপর সে হঠাৎ আলমারি খােলার আওয়াজ শুনতে পেল। সে ঘুম থেকে জাগল। মানসী দেখলাে যে সেই লেহেঙ্গাটি হাঁটছে। সে ভয় পেয়ে গেল। যখন ওই, লেহেঙ্গাটি ধরল তখন একটা হাসির আওয়াজ শুনতে পাওয়া গেল এবং স্পষ্টভাবে দেখলাে একটি মােয়েকে যে তার দিকে এগিয়ে আসছিল। মানসী বলল আমার কাছে এসাে না। হঠাৎ সেই মেয়েটির দাঁতগুলাে বড় হয়ে। গেল এবং সে তার পায়ের দিকে দেখল যে তার পাউন্টো এবং মানসী জানতে পারল যে এটা একটা খারাপ আহ্মা। সেই মেয়েটি মানসীর শরীরে প্রবেশ করল। সে শুনল দরজায় কে আওয়াটা কয়ছিল। মানসী আমি তোর বাবা। তুই ঠিক | আছিস। সকালবেলায় তার বােন শ্রুতি তার ঘরে ঢা দেওয়ার জন্য আসছিল। সে দেখলাে মানসী এখনাে ঘুমাচ্ছে। সে ওখানে চা রেখে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার চুল ধরে কে টানছিল, সে পেছন ফিরে তাকাল আর দেখলে কেউ নেই পেছনে বিকেলবেলায় রাহুল মানসীর রুমে এলাে এবং রাহুল দেখলাে যে মানসীর সারা হাত পায়ে রক্ত লেগে আছে। রাহুল তাে | ভয় পেয়ে গেল। রাহুল দৌড়ে নীচে নেমে গেল এবং সে ইঁপাচ্ছে সেটা শ্রতি দেখতে পেল। কতি বলল কি হয়েছে। রাহুল বলল আমি দেখলাম যে সারা হাত ও পায়ে রক্ত পড়ছিল। শ্রতি বলল, রাহুলদা আমাকে ওই শাড়ির দোকানে নিয়ে তলাে। তারা দুজনেই ওই দোকানে প্রবেশ করল। রাহুল বলল ঐ শাড়িটাতে কি ছিল? তিনি বললেন খারাপ আত্মা। বহ বছর আগে রানী বলে একটা মেয়ে রাজ নামে একটা ছেলেকে ভালবাসতাে। কিন্তু সেটা রানির বাবা জানতে পেরেছিলেন এবং তিনি রাজ-কে মেরে ফেলেছিলেন। সেটা তার মেয়ে জানতে পেরেছিল। তারজন্য রানি বিষ খেয়ে ফেলেছিল এবং তার বাবাকে সে বলেছিল আমি এর বদলা নেবাে। তারজন্য সে ফিরে এসেছে তার বদলা দেওয়ার জন্য। রাহল বলন মানসী কে কি করে বাঁচাৰাে আমি ? সে একটা উপায় দিল যে এক বালতি রক্ত ও একটা মরার মাথা তার সামনে রাখবে। এবং বলবে যে এটা গ্রহণ করাে ও মানলীর জীবন থেকে চলে যাও। তার সবকিছুই করল। শেষপর্যন্ধ মানসীর দেহ ছেড়ে | দিল। মানসী ও রাহুল সুখে সংসার করতে লাগল।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract