ভৌতিক বাদামি কুকুর
ভৌতিক বাদামি কুকুর
রমেশ রাস্তায় বাইকে করে আসছিল হঠাৎ তার wife তাকে ফোন করে জানায় আর কতক্ষন তোমার জন্য wait করব। আজকের দিনটা ও তোমার অফিসে যেতে হলো। তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো । তাড়াতাড়ি বাইক চালানোর ফলে সে একটি বাদামি কুকুর কে মেরে দিয়ে চলে যায় পেছন ঘুরে দেখল কুকুরটি কাতরাতে কাতরাতে একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ল।
রাস্তার অপর পাশে দেখা গেলো চার পাঁচটি বাচ্চা চিৎকার করে কাঁদছে । রমেশ আর কোনো কিছু না ভেবে বাড়ির দিকে রওনা দিল। বাড়িতে এসে anniversary celebration করতে বউ কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। কিন্তু তার মনে কোনো শান্তি নেই । বিবেকের দংশন তাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল ।বাড়িতে এসে শরীর খারাপের অজুহাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লো। হটাৎ মাঝরাতে একটা কুকুরের চিৎকারে ঘুম ভেংগে গেল তার। সে দরদর করে ঘামছিলো । চিৎকার টা রাস্তা থেকে নয় তার বাড়ির ভেতর থেকে আসছে। সে মুখে জল নেওয়ার জন্য বেসিনের কাছে যেতেই কুকুরের মুখটি আয়নায় ভেসে উঠলো। কলে জলের বদলে রক্ত বেরাতে দেখল সে ভয়ে বিছানার কাছে এসে দেখলো কুকুরটি তার পাশে শুয়ে আছে । ভয় পেয়ে সামনে রাখা ফুলদানি দিয়ে সজোরে মারলো কুকুরটির মাথায়।
পরের দিন সকালে কাজের মেয়ে দীপা এসে calling bell বাজিয়ে বারবার ডাকা সত্বেও কাউকে না পেয়ে পাড়ার লোককে খবর দিল। পুলিশ এসে দুটো মৃতদেহ উদ্ধার করলো। দেখলো রমেশ গলায় দড়ি দিয়েছে আর তার বউয়ের মাথায় ফুলদানি দিয়ে মারা হয়েছে।
পুলিশ অপরাধীর কোনো চিন্হ না পেলেও বাড়ির মধ্যে কুকুরের বাদামি লোম আর পায়ের ছাপ পেয়েছে।
................ সমাপ্তি ............

