অতীত
অতীত
জীবনে আপন মানুষদের সাথে কাটানো সময়গুলো কেমন যেন সাদা রঙের মতো থেকে থেকে আঘাত গুলো নিজের দাগ রেখেই যায় ।ক্রমশ মলীন হয় ।চোখের জলে বালিশগুলো ভিজতেই থাকে ।কান্না চাপা ঠোঁট দুটো থেকে থেকে কেঁপে ওঠে নিস্প্রাণ মানুষের তাজা স্মৃতিগুলো মনে করে ।মনেই হয়না মানুষ টা জীবনে নিজের জায়গা সরিয়ে একহাত দূরে চলে গেছে । এটুকুই ইচ্ছা করে হাত দুটো বাড়িয়ে মানুষটাকে ছুঁই আগের মতো ।তার গায়ের গন্ধে নিজেকে জড়াই নতুন করে তার প্রেমে পড়ি আদরে নিজেকে আবিষ্ট করি ।চোখ খুললেই মনে হয় সে আবার পালাবে চুপিসারে কাঁদিয়ে ,চলেই যাবে তাহলে সাথে করে নিজের ছাপ রেখে যাওয়া মুহুর্তদের সঙ্গী করেনা কেন ।কেন নিজের সবটুকু অস্তিত্ব কে বুঝিয়ে দেয় ফেলে যাওয়া চিহ্নগুলোর মধ্যে। তখন মনে হয় তাকে বলি ,
ঠিক যেখান থেকে যে সময় থেকে তোমার আলাদা করে পথ বেছে নেওয়া টা শুরু করেছিলে , আমার দুটো হাতটা ছেড়ে একলা পথ ধরে চোখের নিমিষে ঝাপসা হচ্ছিলে তখন ই বুঝেছি " তুম ভি চুপ হো ম্যায় ভি চুপ হুঁ কৌন কিসে সামঝায় ,/অব দূরিয়া ইতনি হে তো মিলনা ইহা কাল হো না হো"
কান্নাগুলো প্রাণপণ গিলে নিতে নিতে বুঝেছিলাম এবার আর কেউ শক্ত করে ভিড় রাস্তায় আগলে হাঁটবে না , কেউ মাতাল ভরা চোখে প্রেম চাইবে না ।মালাজড়ানো চুলে নেশার ভাঁজে মুখ ডুবাবে না। নতুন করে আবারো বুকে জাপটে ধরে একনিমিষে মায়ার চাদরে আদর দেবে না। কারণ সে আজীবন মনে থাকবে সশরীরে উপস্থিত থাকবেনা তাই তোমাকেও তাকে ছেড়েই তার স্মৃতি বরাবর সময়ের অলিগলির ধার ঘেঁষে এক পাশেই নিজেকেও এগোতে হবে যেমন করে এক পা এক পা এগিয়ে গিয়েছিল পে ,কারণ তুমি নামক ছাতাটা ক্রমশ চিতার আগুনে চোখের সামনে একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছিলে মলিন হাসি হেসে।চিতার আগুন টা ক্রমশ নিভছিলো আবার দমকা হাওয়ায় ভেসে আসছিল তোমার বলা কথাগুলো -
দিল কো হ্যায় গাম কিউ আঁখ হ্যায় নাম কিউ হোনাই থা যো হুয়া হ্যায় / উসকা বাদ কোন জানেই দো জিসকা নিশান কাল হো না হো /হার পাল ইহা জি ভার জিও জো হ্যায় সামা কাল হো না হো।নোনতা চোখের জলে সেদিন মাটি ভিজেছিলো আর আকাশ জুড়ে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল ।স্মৃতি আগলে বুকে এক পাগলী বিরহ দুঃখে শুধু কান্নাটা সঙ্গী করেই ভবিষ্যতের পথে চুপচাপ পথচলা টা মানিয়ে নিচ্ছিল ।
"শরীরে শরীর মিশলে যদি আদরেই প্রেম টেকে?
আজীবন স্মৃতি আগলে একতরফা প্রেমে কেন বিরহীনি খেতাব জোটে!"
