বিচ্ছেদ
বিচ্ছেদ
- রৌনকের খবর জানিস কিছু? আরেহ না না কদিন আগেই পোস্ট করছিল এখন দেখি অফ,ওর থেকে কিছু নোটস লাগতো আর কি...
- না রে আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
- কেন কি হলো রে?
- ধুস কিছুই না।
- তোদের ব্যাপার টা একটু অন্যরকম ভাই জেনেও ঢঙ করিস না। বল বল অনেকদিন কথাও হয়নি তোদের কারোর সঙ্গে।
- আমি কিছুই জানি না রে ওর ব্যাপারে নিজের পড়াশোনা করি ওতেই ব্যস্ত থাকি।
- তোর বুটিক ওটা কি হলো?
- চলছে রিসেন্ট একটা ব্রাঞ্চ করবো ভাবনা চিন্তা করছি। ওটা নিজের টুকটাক পড়াশোনা নিয়ে ই কাটে।
- কাকু কাকিমা?
- মা বাবা দুজনেই একসাথে ছমাস আগে এক্সপায়ার করেছেন পুরো বাড়িটায় একাই থাকি আসিস কখনো।
- ভেরি সরি!
- আমার সঙ্গে রৌনক এর কথা হয়না, কোনরকম স্পেশাল ব্যাপার টা ও নেই তোরাই টোন কাটতিস।
- আচ্ছা আমাদের বন্ধুদের গ্রুপটা আছিস ওখানে? আমি ফোন চেঞ্জ করতে গিয়ে সব উড়েছে,একটু জয়েন করিস তো।
- আচ্ছা।
ফোন টা কাটার পর শর্মিষ্ঠা উঠে গিয়ে ডায়েরি তে কিছু লিখলো কতক্ষন তারপর হাত বুলিয়ে ডায়েরিটা বুকের মধ্যে জড়িয়ে রাখলো। একটু পরে গাল বেয়ে পড়া জলের ফোঁটা নিঃশব্দ হয়ে থেমেও গেল। কি বলবে কাকে? যে মানুষ নিজেই সবকিছু মিটিয়ে হারিয়ে গেছে তার উপর জোর ফলিয়ে কোথায় খুঁজবে?
গ্রুপে এখনো রৌনকের ওর হবু বউ এর সাথে তোলা ছবিটা জ্বলজ্বল করছে। নোটিফিকেশন থেকে দেখার পরেই বুকটা জ্বলছে হিংসায় নাকি দমবন্ধ করা কষ্টে কে জানে?
নাহ এবার সব মুছতেই হবে ওকে এভাবে জমিয়ে কাউকে কামনা করাটা অপরাধ অন্যায়। এক নাগাড়ে ছবিটা ডিলিট করতে গিয়ে শর্মির হাত কাঁপছে ঠোঁট দুটো চেপে কান্না আটকে ডিলিট অপশনে সব টুকু ছেড়ে দিলো।
কাউকে জানানোর নেই বলার নেই, নিজের টুকু আটকে আজীবন মনের খাপে ঢুকিয়ে চোখের জলে আজ সবটা ভাসিয়ে এলো।
" মানুষ এগোয় অতীত বয়ে, মুছে, দুমড়েমুচড়ে পিষে, থেমে যাই আমরা কোন এক অজানা নিঃসঙ্গ বাঁক ধরেই যার ঠিকানা কাউকে দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তুমি কখনো পিছু ফিরে অসময়ে আমাকে ডেকো আমি আসবো তোমাকে ছুঁয়ে দেবো এ ছোঁয়া পাপ নয় এটুকু ভালোবাসার দাবিটা দিও , আমি না হয় হাওয়ার মতো করে কপাল চিবুক বেয়ে হাল্কা আদর আঁকলাম তোমার জন্য, যে মুহুর্তে আমার আনাগোনা ছিল ওই অধিকারের গন্ডি কেটে তোমাকে পেলাম পাবো না বলো..."
