অভিশপ্ত সম্পত্তি শেষ পর্ব
অভিশপ্ত সম্পত্তি শেষ পর্ব
" কারণ আমরা মানুষকে বিশ্বাস করিনা। শোন তাহলে।
একবার আমার দাদা,,,, বৌদি আমাদেরকে তাদের বিবাহ বাত্সরিকে এখানে ডেকেছিল।
আনন্দ করার পর,,, খেয়ে,,, কিছুক্ষণ বাদে দেখি আমাদের মাথা ঘুরছে,,, বমি হচ্ছে । আর এটা দেখে দাদা, বৌদি হাসছিল,,, আর বলছিল-- " রমেশ,, এবার সম্পত্তি আমাদের। বাবা তোর নামে সবচেয়ে বেশি রেখে গেছিল। এটাই ছিল,, যে তুই মরে গেলে সম্পত্তি আমার হবে । তাই দরকার ছিল তোকে আর তোর বউকে মারার।"
এরপর আমাদের মৃত দেহ এই দরজার পাশের দেওয়ালেই পুঁতে দিয়ে চলে গেছে।
আমাদের মন আজও ব্যথিত,,,, এই যে সম্পত্তির জন্য নিজের দাদা আমাদের সাথে এরম করল ।
এই জন্যই আমরা আত্মা হয়ে রয়ে আছি।
বললাম-- " ঠিক আছে,,,, কাগজটা নিয়ে যাচ্ছি । পুলিশকে গিয়ে বলবো।"
আমি ওইদিন ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে,,, পরের দিন পুলিশকে গিয়ে ওই কাগজটা দেখাই আর সবকিছু বলি।
পুলিশ এসে দেওয়ালটা ভাঙতে দুটো কংকাল পাওয়া যায়। কংকাল দুটো এরপর দাহ করা হয়।
কংকালটা দাহ করার সময় দেখি,,,, দুটো আত্মা আমায় আশীর্বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছে।
পুলিশ এরপর রমেশের দাদা সুরেশের কাছে গিয়ে তদন্ত করে । তারপর সবকিছু জানা যেতে সুরেশ গ্রেফতার হয়।
সম্পত্তি পেতে গিয়ে কতো নীচে নেমেছিল লোকটা। এতো বড়ো ভুল করল যে জেলেই চলে যেতে হলো। সম্পত্তিটা সত্যি পুরো অভিশপ্ত ছিল।

