অভিশপ্ত সম্পত্তি পর্ব ১
অভিশপ্ত সম্পত্তি পর্ব ১
" ২০১০ সালে আমার জীবনে যা ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল,,, আজও ভুলতে পারিনি জানিস মৌমিতা
মৌমিতা -- " তুই কি পাগল বলতো সুদীপ্ ?? ওই কথাগুলো মনে করলে তুই আর ভালো ও থাকবি? ভোল না, ওইসব ভুতুড়ে কথা । ওসব তোর মনের ভুল। ভূত বলে কিছু হয়না ।
সুদীপ্-- " আমিও তাই ভাবতাম রে। সবাই তো মিথ্যে বলে পালাল । তুই কথাটা শোন ।"
মৌমিতা-- " বেশ,, বল,,,, তাতে যদি তোর মন থেকে এই ভাবনা বেরিয়ে যায় ।"
আমি ফটোগ্রাফি করি তা তো জানিস ই। ভেবেছিলাম,,,, গ্রামে গিয়েও করি । নতুন কোন গাছ বা অন্য কিছু যদি পাই। তাই করছিলাম ।
একটা যায়গা অব্দি যাওয়ার পর দেখেছিলাম আর বাড়িই নেই । অবাক লাগতে আমি জিজ্ঞেস করি " ওখানে কি আর কেউ থাকেনা?" সবাই ভয়ে ভয়ে বলতো ওটা একটা খারাপ জায়গা।
তারপর দুজন বয়স্ক,, দাদু দিদার মতন মানুষ বলেছিলেন
-- " ওদিকে যেয়ো না বাবা,,, ফোটোগ্রাফি নিচ্ছ এখানে ধারে কাছেই নাও।"
বললাম-- " কেন??? ওখানে কি আছে???"
-- ওখানে অনেকটা দূরে একটা পুরোনো বাড়ি আছে। ওইখানে প্রেত আত্মারা থাকে,,, বহুবছর ধরে। কেউ তাই ওইদিকে তাকায়ও না। "
-- " প্রেত আত্মা??? কি বলছেন?? প্রেত আত্মা বলে কিছু হয় নাকি?? আপনাদের মনের ভুল ।"
-- " হ্যা বাবা । তোমার মতন যতো ফটোগ্রাফার ওখানে গেছে,,, আর কেউ ফিরে আসেনি। আমরা সবাইকেই মানা করে রক্ষা করি। কিন্তু তোমার মতন কেউ আমাদেরকে বিশ্বাস করতে চায় না,,, আর তারপরই বিপদে পরে ।"
-- " আমার কাছে Cross আছে ।"
-- " ওদের cross দেখিয়েও আটকানো যায় না বাবা। যদি ওঁ আর রুদ্রাক্ষের মালা গলায় পরে যেতে পার,,,, তবেই তুমি নিজেকে বাঁচাতে পারবে।"
কথাগুলো শুনে এতো ইন্টারেষ্টিং লাগছিল,, যে আমি নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছিলাম না,, ওখানে জাওয়া থেকে।
পথটা জিজ্ঞেস করতে ওনারা বলেন -- " সোজা গিয়ে,,, ডান দিকে যেতে হয়, তারপর বাঁদিকে, তারপর আবার ডানদিকে গিয়ে,, বাঁদিকে যে বাড়িটা আছে,,, ওটাই সেই বাড়িটা। কিন্তু কেন যাচ্ছ বাবা,,, প্রথমেত তোমার জীবন ।"
গ্রাম মানে কুসংস্কারে ভর্তি জানতাম । তাও আমি ওঁ আর রুদ্রাক্ষের মালা গলায় পরে ওখানে গেলামই । আমাকে যেন মনে হচ্ছিল বাড়িটা টানছে।