অভিনেত্রী পর্ব 1
অভিনেত্রী পর্ব 1
আমি বনলতা সেন... আমার মা আমাকে নাম দিয়ে ছিল লতা.... অভিনয় জগতে আসার পর আমার নাম হয় বনলতা.... সেন পদবী টা আমার স্বামীর কাছে পাওয়া... বিকাশ সেন আমার স্বামী একজন নামী সিনেমা জগতের নামী লোক...
আমার আর বিকাশের যখন আলাপ হয় তখন আমার ক্যারিয়ার মধ্য গগন এ... ওর ভাই প্রকাশ আমার প্রেমিক ছিল আমরা একসাথে অনেক সিনেমা করেছি..... প্রকাশ অভিনেতা আর ওর দাদা বিকাশ সিনেমা পরিচালক.... খুব নাম ওদের... আর আমার অভিনেত্রী হিসাবে নাম ছিল কিন্তু আমার কোনো বাবার পরিচয় ছিল না.... আমার মা ছিলেন বারবনিতা... আমার এক বোন ও ছিল... ছিল কেন বলছি আজও আছে কিন্ত কোনো যোগাযোগ নেই.... আসলে ওকে দালাল গুলো বিক্রি করে দিলো সেই দশ বছর বয়সে দুবাই এ এক শেখ এর কাছে.... তার পর আমিও পালিয়ে এলাম সোনাগাছই থেকে..... অনেক কষ্ট করে আস্তে আস্তে চলে এলাম সিনেমা জগত এ...
বরাবরই আমি সুন্দরী তাই হয়তো আমি সুযোগ পেলাম সিনেমা তে..... কিন্ত সবাই জানে আমি যৌন কর্মী র মেয়ে... টাকা বাড়ি গাড়ি সব হলো.... বোন কে আনার চেষ্টা করলাম কিন্তু ও আর ফিরতে চাইল না.... শেখ সাহেব ওকে নিয়ে যাওয়া র পর পর ই মারা যান ওনার ছেলে আমার বোন কে বিয়ে করে নেয়.... ওদের ছেলে ও আছে একটি..... বোনের মায়ের ওপর তীব্র ঘৃণা..... মা আমাকে নিজের কাছে রেখে ওকে কেনো বিক্রি করে দিলো.... ভাল... ভাগ্যের জোরে ও কারোর পোষা মেয়ে মানুষ না হয়ে কারো বউ হয়ে গেছে.... আর ওকে নিয়ে আমার কোন চিন্তা ছিল না.... মা ও আমার উন্নতি সুখ দেখে শান্তি তে কিছু দিন পরই এই পৃথিবী র মায়া ত্যাগ করলো..... তার পর প্রকাশ এলো আমার জীবনে এক সাথে কাজ করতে করতে প্রেম হয়ে গেলো.... আমি ও একা হয়ে গেছিলাম..... নাম জস থাকলেও একটা পদবী একজন ভালোবাসার মানুষকে আমি চাইছিলাম..... প্রকাশ কে একটু বেশি পাত্তা দিছিলাম যাতে ও আমার প্রেমে পড়ে.... পড়লো ও আমার প্রেমে.... ভালোই যাচ্ছিল দিন গুলো.... হঠাৎ আলাপ তোরা র সাথে... প্রকাশের বৌদি... বিকাশের বউ.... তোরা ভারী মজার মেয়ে খুব তাড়াতাড়ি সবাইকে আপন করে নিতে পারে... ওদের বাড়ি যাওয়া আসা শুরু হলো..... জীবন তোরা র ছেলে আমাকে খুব ভালোবাসত... কিন্ত আস্তে আস্তে একটা পরিবর্তন আসছিল প্রথমে না বুঝলেও ধীরে ধীরে অনুভব করতে লাগলাম আমি আর বিকাশ দু জন দু জন কে পছন্দ করি..... প্রকাশ ও তোরা র চোখে ধুলো দিয়ে আমরা মেলামেশা শুরু করলাম.... এক দিন বুঝলাম যে আমি মা হতে চলে ছি..... প্রকাশ কে কি ভাবে কি বলতাম ও তো কোনো দিন আমাকে ছুঁয়ে ও দেখেনি.... সব সময়ে বলত বিয়ে করে তার পর তুমি শারীরিক ভাবে আমার..... এখন শুধু মানসিক ভাবে আমরা একে অপরের.... বিকাশ কে সব বললাম.... ও বলল অপেক্ষা করতে..... আস্তে আস্তে লক্ষণ ফুটে উঠতে লাগলো... সবাই বুঝতে শুরু করলো আমি মা হতে চলেছি..... প্রকাশ কোনো প্রশ্ন করে নি.... শুধু বলে ছিল এত জৈবিক খিদে তোমার.... আমাদের বিয়ের অপেক্ষা করতে পারলে না তুমি? ও চলে গিয়েছিলো আর ফিরে তাকায় নি...
সে দিন বৃষ্টির মধ্যে চলে গেছিলাম তোরা র কাছে..... তোরা আমাকে জিজ্ঞাসা করলো কে এই অনাগত শিশুর বাবা.... সোজা ওকে বলে দিলাম নাম টা..... ও কি বলবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিকাশ এলো আর সত্যি টা ওকে পরিষ্কার করে বলল.... এ ও জানালো যে ও আর তোরা কে ভালো বাসে না.... ও মুক্তি চায়....
তোরা ওই ঝড় জলের মধ্যেই ছেলে কে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি ল বাড়ি থেকে... প্রকাশ সব শুনেছিল বাইরে থেকে ... ও এসে আটকাতে লাগলো বৌদি কে.... বলল যেতে হলে দাদা যাবে এই বাড়ি থেকে.. এই বাজারের মেয়ে কে নিয়ে.... তুমি বৌদি তোমার বাড়ি তে থাকবে.... আমি আছি তোমার ভাই তোমরা সাথে.... সে দিন ওই টুকু ছেলে জীবনের চোখেও আমি দেখেছিলাম ঘেন্না... আমার প্রতি.... ওই অবস্থায় আমরা বিয়ে করে নিলাম... তোরা র সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলো বিকাশের..... আমি স্বামীর নাম পেলাম পদবী পেলাম.... কোনো গ্লানি আমার ছিল না তোরা বা প্রকাশ কে ঠকানো র..... মেয়ে হল বিয়ের এক মাস পর... সনিয়া আমার মেয়ে... ওকে আগলে আগলে রাখতাম... জীবন কিন্তু বাবা বা আমার সাথে যোগাযোগ না রাখলেও বোন কে খুব ভালোবাসত... আমি চাইতাম না সোনিয়া মেলামেশা করুক তোরা প্রকাশ বা জীবনের সাথে.... অহংকার নাকের উপর এসে হাজির হয়ে ছিল আমার.... সিনেমা তে অভিনয় সৌন্দর্য্য ও gossip এর কারণে আমি খুব নাম করে নিয়ে ছিলাম.... প্রকাশ আর সিনেমা তে চান্স পাচ্ছিল না.... আসলে সব আমার কারসাজি র কারণে.... এই ভাবেই দিন গুলো কেটে যাচ্ছিলো..... তোরা মারা গেলো হঠাৎ জ্বরে পরে.... বিকাশ ওর শেষ যাত্রায় অংশ নিতে যাচ্ছিলো আমি বাঁধা দিলাম.... ও কথা শুনলে তো.... চলে গেলো ex wife এর মুখঅগ্নি দিতে.... আমি গেলাম না.... সোনিয়া কেও যেতে দিলাম না... আজ কাল বিকাশ আমাকে পাত্তা দেয় না...
জীবনের সাথে যোগাযোগ খুব বেড়ে গেছে ওর... বুড়ো বয়সে ছেলে কে নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে... আগে জীবন ও বাবার সাথে কথা বলত না কিন্তু মা মরার পর থেকে খুব বেশি বাবা বাবা করে...... ওকে সিনেমা তে শক্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো বিকাশ..... জীবন অভিনেতা হিসেবে নাম পেতে লাগলো..... প্রকাশ ওকে ছায়া র মতো করে আগলে রাখত.......
কিন্তু আমর হাত থেকে কি করে রক্ষা করবে.... আমাকে বনলতা বলে কেউ ডাকে না ডাকে মায়া বলে.... জাদু রানী মায়া.... আমার রূপ আমার মোহ থেকে কেউ বাঁচতে পারে না..... আমার থেকে বয়সে প্রায় কুড়ি বছরের ছোট জীবন ও পারলো না আমার জাদু মোহ থেকে বাঁচতে.... আমার সমস্ত রূপ যৌবন দিয়ে ওকে বসে করে ফেললাম.... একদিন ওর ফ্ল্যাট এ গেলাম দরজা খুলে আমায় দেখে বিরক্ত হলেও ভদ্রতা র খাতিরে ভেতরে আসতে বলল.... কিছুক্ষণ কান্না কাটি করে নাটক করে ওর কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলাম..... ওকে জল চাইলাম..... ও জল আনতে গেলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ার নাটক করে পড়ে গেলাম.... ও কিছু বুঝে ওঠ তে পারছিল না আমাকে নিয়ে শুয়ে দিলো ওর বেড রুমে..... আমি অজ্ঞান হওয়ার ভান করে আমার শাড়ী টা এলোমেল করে দিলাম.... ও আমার মুখে জল দিতে এলে ওকে টেনে নিলাম নিজের শরীরে.... চব্বিশ বছরের যুবক সাময়িক ভাবে হুস হারালো...... মিলিত হলাম সৎ ছেলের সাথে..... কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফেরার নাটক করলাম.... উঠেই বললাম এ কি আমার শারী টা খোলা কেনো? জীবন আমি তোমার বিছানায় শুয়ে কেনো? জীবন মাথা নিচু করে বসে ছিল.... লজ্জায় মাটিতে মিশে গেছিল.... ও আমাকে সব বলল.... মনে মনে হাসি পেলেও কান্নার অভিনয় করতে লাগলাম..... জীবন কে বললাম আমার সাথে এই ভাবে প্রতিশোধ নিতে পারলে তুমি? ও বললো আমি অজ্ঞান হয়ে ওকে কাছে টেনে নিলে ও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে নি..... আমি বাড়ি চলে এলাম..... গ্লানি তে এসে জীবন দেশ থেকে চলে গেলো অভিনয় ছেড়ে দিলো...... বিকাশ কিছু বুঝতে পারলো না যে হঠাৎ ছেলের কি হলো.... শুভাশীষ শিকদার নামী পরিচালক... ওর সাথে যোগাযোগ করা শুরু করে দিলাম..... সোনিয়া সতেরো বছরের হয়ে গেছে ওকে এবার নায়িকা করার পালা..... অল্প ঘুমের ওষুধ দুধের সাথে দিয়ে দিলাম ওকে.... নিয়ে গেলাম হোটেল শুভাশীষ শিকদার এর কাছে..... উত্তেজিত আধ বুড়ো শুভাশীষ ঝাঁপিয়ে পড়লো সোনিয়া র উপর.... যন্ত্রণা তে চিৎকার করে উঠলো আমার মেয়ে..... ভিডিও ফুটেজ করে রাখলাম সবকিছু লুকিয়ে লুকিয়ে... আমার মেয়েকে ভোগ করার পর ওকে ফিল্ম এ চান্স দেওয়ার কথা পাকা করে চলে গেল শিকদার বাবু..... বাড়ি নিয়ে আসার পর জ্ঞান ফিরলে ও আমাকে অপমান করতে লাগলো বললো যে বাবা কে সব বলে দেবে..... আমি কিছু বললাম না শুধু ফুটেজ টা দেখালাম.... বললাম যে এটা socal media তে ছেড়ে দেবো...... লজ্জা যন্ত্রণা তে ও চুপ করে গেলো...... শুরু হল আমার স্বপ্ন পূরণের কাজ.... প্রীত মিলে সিনেমা তে ও নায়িকা হিসেবে কাজ পেলো..... কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে..... আর জাস্ট ভাবতে পারছি না.... আমি আমার মেয়ে.... ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে বড় নায়িকা... দুবাই এর এই হোটেলে বসে সব মনে পড়ে যাচ্ছে এক এক করে..... বিকাশের কাজ আছে তাই ও ইন্ডিয়া চলে গেছে..... আমিও কাল সকালে ফিরব আগামী সপ্তাহে সোনিয়া র ফিল্ম এর প্রথম ঝলক দেখানো হবে...... আমি সত্যিই খুব সফল.... সব দিক থেকে.... দরজায় নক করলো কে.... মদের বোতল নিয়ে ই দরজা খুলে দিলাম... জীবন এসেছে...... কিন্ত মুখে আজ কোনো লজ্জা বা গ্লানি নেই.. ঢুকেই বললো আন্টি ভালো আছো.... আন্টি কেন আন্টি কেনো বনলতা বল জীবন.... কেন বনলতা কেন বলব আন্টি সৎ মা বলা যায় কিন্তু নাম ধরে ডাকা যায় না..... নাম ধরে ডাকা যায় না কিন্তু আমার অজ্ঞান অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমার সাথে শুতে পারো তুমি...
চুপ.... মিসেস বিকাশ সেন আপনি আমাকে ঠকিয়ে আমার ক্যারিয়ার টা নষ্ট করে দিয়েছেন.... আমি সব খেলা আপনার ধরে নিয়েছি... সেদিনের সি সি টিভি ফুটেজ টা আজ আমাকে কেউ মেইল করে পাঠিয়ে দিয়েছে.... অচেনা কেউ.... হয়তো আমার ফ্ল্যাট এর কোনো সিকিউরিটি গার্ড..... হয়তো সে আমার ফ্যান..... যাই হোক আমি ইন্ডিয়া ফিরছি নতুন করে শুরু করতে হবে... অত সহজ নয় জীবন.... তোমার বাবা যদি জানতে পারেন যে তুমি আমার সাথে শুয়ে ছিলে তা হলে কি হবে? কিছু হবে না আমি ফুটেজ টা বাবা কে দেখিয়ে সব বলব.... নিজে থেকেই বলব... বাবা নিশ্চয়ই বুঝবে যে তার ভাই কে ছেড়ে তার কাছে চলে আসতে পারে সে তাকে ছেড়ে তার ছেলের সাথে একটু শুতে ও পারে... Shut up just shut your mouth.... শুনতে হবে শুনতে হবে আপনাকে... অনেক কিছু শুনতে হবে হিসাব দিতে হবে.... আমি দুবাই আসার পর থেকেই আপনার উপর নজর রাখতে শুরু করে ছিলাম.... আপনি কি ভাবে শুভাশীষ শিকদার এর বিছানায় নিজের মেয়ে কে শুতে বাধ্য করলেন কি ভাবে ফিল্ম আদায় করলেন সোনিয়া র জন্য... সব জানি আমি.... শুধু খারাপ লাগে যে বোন টার জন্য কিছু করতে পারলাম না.... কারণ আমার কিছু করে ওঠার আগেই আপনি ওকে নষ্ট করে দিলেন... ছি ছি আপনি পারলেন? আমি না হয় আপনার সন্তান না... কিন্তু ওই ফুলের মত পবিত্র একটা মেয়ে ও তো আপনার নিজের.... চুপ করে আর থাকা যাবে না..... জীবনের অসতর্কতা র সুযোগে ওর মাথায় ফুলদান টা মারলাম লুটিয়ে পড়লো ও.... আমার কাছে চাল বাজি..... দরজা বন্ধ করে দিতে গিয়ে দেখি আমার বোন দাঁড়িয়ে আছে..... সেই দশ বছর বয়সে সামনে থেকে দেখেছি শেষ.... Socal networking এ দেখা হতো আজ এই প্রথম সামনে থেকে ও দাড়িয়ে আছে..... কিন্তু পরিস্থিতি টা স্বাভাবিক না..... তারা তুই এখানে কি ভাবে? হুমম আমি শুনেছিলাম তুই দুবাই এ তাই ভাবলাম তোর সাথে দেখা করি.... হট করে খোঁজ নিয়ে চলে এলাম এই হোটেলে.... কিন্তু দেখেছি না আসাটা ভালো ছিল.... কিন্তু আমি তোর সাথে কোনো ঝামেলা চাই না.... সব আমি দেখেছি নিজের চোখেই তুই কি ভাবে এই ছেলে টা কে আহত করলি.... But তুই চিন্তা করিস না আমি কাউকে কিছু বলব না.... যাক বাবা আমার বোন তা হলে আমার মতই বুদ্ধিমান.... হুমম চল একটু whiskey খা..... চলে তো.... তারা বললো না চলে না কিন্তু তুই খা আমি গল্প করি তোর সাথে.....

এক ঘন্টা পর....
তারা তুই আমাকে বাথরুমে কেন নিয়ে এলি.... আমার নেশা টা একটু বেশি হয়ে গেছে আর জীবনের জ্ঞান ফিরে আসতে পারে তাই..... তারা ওর দিদি বনলতা কে bathtub এ শুয়ে দিয়ে কল টা খুলে দিলো.... তার পর রুমে এসে জীবনের মুখে চোখে জল দিয়ে ওর জ্ঞান ফেরালো.... প্রথমে জীবন কিছু বুঝে ওঠ তে পড়লো না.... তারা ওকে কাউকে কিছু না বলে হোটেল থেকে বের হয়ে যেতে বলল...... চোখের জল মুছে তারা বললো দিদি এত দিন পর দেখা হওয়ার পরে তোর পরিণতি আমাকে এই করতে হবে আমি স্বপ্নে ও ভাবতে পারি নি কিন্তু আজ আমি যদি এটা না করি তা হলে তুই আরো অনেক সর্বনাশ ডেকে আনতে পারিস তা আজকে আমার কাছে পরিষ্কার..... By...
পরের দিন সব নিউজ চ্যানেল এ একই খবর দুবাই এর হোটেলে বিখ্যাত অভিনেত্রী বনলতা সেন এর bathtub এ ডুবে মৃত্যু.......
সারা দেশ শোক প্রকাশ করেছে....... কিন্তু বনলতা র পরিবারে র কারো মধ্য শোক নেই...... শুধু আছে তাদের নিজের নিজের অপরাধী র শাস্তি পাওয়ার সন্তোষ..... বিকাশ.. প্রকাশ... জীবন.... তারা.... সোনিয়া.... এদের জীবনে চলা ঝড় চিরকাল এর জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে....
