আয়না ( পর্ব ১২)
আয়না ( পর্ব ১২)
রিমি: " মামা! তুমি কি আমাদের ভয় দেখাচ্ছ?"
পিনাকী বাবু : " না না ! মামু আমি তোমাদের সত্যিটা বলছি। আমরা কিন্তু জানি না ও তোমাদের মধ্যে কাকে প্রথমে মারতে চাইবে?"
রাতুল: " আমাকে।"
পিনাকী বাবু: " কেন?"
রাতুল: " কারন আমি তোমাকে বাঁচিয়েছি। আর বারবার ওকে বাধাও দিয়েছি। তাই দুর্গাপতির পরের টার্গেট হলাম আমি।"
পিনাকি বাবু: " তুমি কি নিশ্চিত?"
রাতুল: " পুরো ১০০%।"
পিনাকি বাবু: " ঠিক আছে। তার মানে আজ মামু তোমার পালা।"
রাতুল: " তাহলে পরিকল্পনাটা শোনো।"
রাতুল তার পরিকল্পনাটা সকলকে জানাল। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি লাশ সংগ্রহ করা হলো এবং তাকে রাতুলের মতো সাজানো হলো আর রাতুলের ঘরে রেখে দেওয়া হল।
আর চারিদিকে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো যাতে দুর্গাবতীর আত্মা ভাবে রাতুল ওই ঘরেই আছে। বাকিরা সকলে চোরা কুঠুরিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। গভীর রাতে দুর্গাবতীর আত্মা পিনাকি বাবুর বাড়িতে প্রবেশ করল।
আর সব ঘরে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকল কোথায় রাতুল ঘুমাচ্ছে। রাতুলের ঘরে গিয়ে সে দেখলো রাতুল তার ঘরেই ঘুমাচ্ছে। আর তার চারিদিকে আলো জ্বলছে। দুর্গাবতী এক দমকা হাওয়া মাধ্যমে সকল আলো নিভিয়ে দিল।
দুর্গাবতী সেই লাশকে রাতুল ভেবে আঘাত করে। আর রাতুলের নিথর দেহ দেখে সে ভাবে রাতুল মারা গেছে। রাতুলকে হত্যা করার পর যখন দুর্গাবতী তার মহলে ফিরে যাচ্ছিল তখন চোরা কুঠুরির জানলা দিয়ে সে আসল রাতুলকে নিচে নামতে দেখে ফেলে।
আর সে তখনই ফিরে আসে আর রাতুলের ওপর আক্রমণ করে। ঠিক তখনই পিনাকী বাবু রাতুলকে বাঁচাবার জন্য তাঁর নিজের পকেট থেকে লাইটার বার করে আর সেটা জ্বালিয়ে দুর্গাবতীর দিকে এগিয়ে যান আর দুর্গাবতী ভয়তে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
দুর্গাবতী চলে গেলে সকলের বিপদ আরো বেড়ে যায়। কারণ দুর্গাবতী জেনে যায় পিনাকি বাবু ও বেঁচে আছেন। আর তাদের সকলের উপর দুর্গাবতী নিশ্চয়ই আবার আক্রমণ করবে আর সেটা হবে ঠিক একাদশীর দিন। তাই সকাল হলে পিনাকী বাবু বিখ্যাত তান্ত্রিক শ্রীচরণ দাস আচার্যকে দেখে পাঠান।
দুপুরের আগেই চরণদাস পিনাকী বাবুর বাড়িতে উপস্থিত হন। পিনাকী বাবু আধঘন্টা ধরে তাঁর সাথে একাকীত্বে সবকিছু আলোচনা করেন। যদিও তিনি সব কথা আগে ফোনেও জানিয়েছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি পিনাকি বাবুকে রানী দুর্গাবতীর আত্মা সম্পর্কে একটি ভয়ংকর তথ্য জানান।

