আয়না পর্ব ৮
আয়না পর্ব ৮
আয়না
পর্ব ৮
রাতুল: " আরে মামা! আমাদের সাথে যে ভুতুড়ে কান্ডটা হয়েছে তুমি তাতে ভয় পেয়েছো। তাই হয়তো চিন্তা করছিল বলে, এই স্বপ্ন দেখেছো।"
পিনাকি বাবু: " নারে মামু! আমার সত্যি খুব ভয় করছে।"
রাতুল: " তুমি একটা কাজ করতে পারো।"
পিনাকি বাবু: " কি?"
রাতুল: " তুমি যখন রাতে ঘুমাবে তখন তোমার চারপাশে আগুন জ্বালিয়ে রাখবে। বিশেষ করে এই আয়নাটার সামনে অনেকগুলো মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখবে। যাতে এই দুর্গাবতীর আত্মা তোমাকে ছুঁতেও না পারে।"
পিনাকি বাবু: " ঠিক বলেছিস। কিন্তু কতদিন এই মোমবাতি জ্বালিয়ে রাত কাটাবো?"
রাতুল: " যতদিন এই বাংলাতে আমরা থাকবো।"
পিনাকি বাবু: " যতদিন মানে। আমি তো ঠিক করেছি কালকেই বাড়ি ফিরে যাব।"
রাতুল: " মামা! দয়া করে আমার একটা আবদার রাখো।"
পিনাকি বাবু: " বল! কি আবদার রাখতে হবে?"
রাতুল: " আসলে আমাদের ইচ্ছা আজকে রাতের পরে বাকি বাংলোগুলোতে ভূত দেখতে যাব।"
পিনাকি বাবু: " তাই নাকি! আমাদের মানে কারা কারা?"
রাতুল: " আমি, রোহিনি আর রিমি।"
পিনাকি বাবু: " না হবে না।"
রাতুল: " মামা প্লিজ!"
পিনাকি বাবু: " তোদের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি দিদি আর জামাইবাবুদের কি উত্তর দেবে?"
রাতুল: " আগুন আছে মামা, ভয় পেয়ো না।"
পিনাকি বাবু: " পাক্কা তো।"
রাতুল: " হ্যাঁ মামা, একদম পাক্কা।"
রাতুলের কথা অনুসারে গত দিনের মত আজও রাতুলরা তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে নিল। আজকের মেনু হল চিংড়ি মাছের মালাইকারি, নোটে শাক ভাজা, ভেটকি মাছের পাতুরি, লুচিপুরি ইত্যাদি। রাত দুটোর সময় তারা সকলে দ্বিতীয় বাংলোর কাছাকাছি চলে এলো।
আজকে পিনাকী বাবু খুব ভয় ভয়ে আছেন। সারা রাস্তা উনি চুপচাপ। পিনাকি বাবু সহ প্রত্যেকে হাতে জ্বলন্ত মশাল নিয়ে জঙ্গল অতিক্রম করতে লাগলেন। ধীরে ধীরে জঙ্গল আরো ঘন হয়ে এলো।
দ্বিতীয় বাংলাটি পার হওয়ার সময় পিনাকী বাবু বারবার দুর্গাবতির ঘরের দিকে তাকাতে লাগলেন। হঠাৎ করে কিছু দেখে পিনাকি বাবু একটু ভয় পেয়ে যান। তবে তিনি নিজেকে সংযতও করে নেন।
