আয়না (পর্ব ১৫) দেবসেনা
আয়না (পর্ব ১৫) দেবসেনা
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: " ঠিক আছে রানী। তুমি যখন বলছো। তাই হবে। কিন্তু মামা বাবু ! আপনি ভাববেন না আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে আজকে রাত টুকুই আমরা এখানে থাকবো।"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ রানী দুর্গাবতীকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন। এদিকে হরিশংকর রায় ভাবতে লাগলেন যা করতে হবে তা আজকে রাতের মধ্যেই করতে হবে। যাতে কাল বিক্রম প্রতাপের যাওয়াটাই আটকানো খুবই দরকার । কিন্তু কিভাবে?
হরিশংকর রায় একটি পরিকল্পনা করলেন। তিনি ভোর হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলেন । তারপর যখন ভোর হল তিনি অসুস্থ হওয়ার ভান করতে শুরু করলেন। অন্যদিকে ভোর হওয়ায় জমিদার বিক্রম প্রতাপ আর রানী ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই একজন দাসী এসে হরিশঙ্কর রায়ের অসুস্থর খবর দেন।
দাসী মিথিলা: " কর্তা ! আপনার মামা বাবু খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ: " সে কি?"
রানী দুর্গাবতী: " উনি এখন কোথায়?"
দাসী মিথিলা: " উনি ওনার ঘরে।"
জমিদার বিক্রম প্রতাপ রানী দুর্গাবতীকে নিয়ে তাঁদের মামা বাবু হরিশংকর রায়ের ঘরে গেলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখলেন সত্যি সত্যি হরিশংকর রায় খুবই অসুস্থ। বৈদ্যকে ডাকা হলে বৈদ্য জানান হরিশংকর রায়ের খাবারে বিষক্রিয়া হয়েছে।
মানে কেউ তাঁর খাবারে বিষ মিশিয়েছে। তাই তিনি অসুস্থ। বৈদ্য জরিবুটি ওষুধ দিয়ে চলে যান। জরিবুটি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর হরিশংকর রায়ের জ্ঞান ফেরে। তিনি জমিদার বিক্রম প্রতাপকে সেখান থেকে না যাওয়ার অনুরোধ জানান।
কোন উপায় না পেয়ে জমিদার বিক্রম প্রতাপ আর রাণী দুর্গাবতী কমলপুর গ্রামের থেকে গেলেন। আর হরিশংকর রায় এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন।