আয়না (পর্ব ১০)
আয়না (পর্ব ১০)
আয়না
পর্ব ১০
রাতুল সবাইকে সবকিছু সংক্ষেপে ভাঙ্গিয়ে বলল। আর সে সবার মনে সাহসও জোগাল। সবাই বাংলোর দিকে এগোতে লাগলো। যখন তারা দ্বিতীয় আর তৃতীয় বাংলোর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালো তখন রাতুল খুব সজাগ হয়ে গেল।
হঠাৎ সে পিনাকি বাবুর চিৎকার শুনতে পেল। রাতুল সকলকে সজাগ থাকতে বলল। সকলে আরো কটা মশাল জ্বালিয়ে নিলো। আর পিনাকি বাবু চিৎকারকে অনুসরণ করে এগোতে লাগলো।
তারা যখন দ্বিতীয় বাংলোর কাছাকাছি পৌঁছে গেল তখন তারা দেখলো পিনাকী বাবু জঙ্গলের এক কোণে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ায় সব মশাল গুলো নিভে গেল।
রাতুল তার মোবাইলের আলোটা জ্বালাল। সকলে তার দেখা দেখি নিজেদের মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে নিল। আলো নিয়ে এগোতেই তারা দেখলো দুর্গাবতীর আত্মা পিনাকি বাবুর গলা টিপে রেখেছে তাঁকে মেরে ফেলার জন্য।
তখন রাতুল চিৎকার করে পিনাকী বাবুকে বলল, " মামা! তোমার বাম পকেটে লাইটার আছে ওটা জ্বালাও। পিনাকী বাবু অনেক কষ্টে তাঁর পকেটে হাত ঢোকালেন আর লাইটারটা পেয়েও গেলেন। তিনি লাইটারটা বারবার জ্বালানোর চেষ্টা করতে লাগলেন।
অনেক চেষ্টা করার পর পিনাকি বাবু লাইটারের আরো জ্বালাতেই দুর্গাবতীর আত্মা পিছিয়ে গেল। অন্যদিকে রাতুলেরা ততক্ষণে সব মশাল আবার জ্বালিয়ে ফেলেছে।
দুর্গাবতী: " তোদেরকে মরতেই হবে। আমি তোদেরকে ছাড়বো না। তোরা যেখানেই থাকিস না কেন, যতই আমাকে ভয় দেখাস না কেন।"
এই বলে দুর্গাবতীর আত্মা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। বডিগার্ডরা পিনাকি বাবুকে তুলে তাঁর বাংলোই নিয়ে আসলেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর পিনাকি বাবু মোটামুটি সুস্থ হলেন। পরের দিন তিনি নিতাইপুরে রোহিনী, রাতুল আর রিমিকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসলেন। সেদিন ছিল মহানবমী। নবমী রাত্রিবেলা পিনাকি বাবু আর বাকিদের সাথে ঘটল আর ও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা।