আয়না (পর্ব ১১)
আয়না (পর্ব ১১)
নবমীর রাত্রিবেলা ঠাকুর দেখে ফেরার পর সকলে পিনাকি বাবুর হল ঘরে সবার সাথে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ করে গভীর রাতে ঘরের আলো নিভে যায়। তারপর একটা ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। পিনাকী বাবু ভয়তে অজ্ঞান হয়ে যান।
বাকিরা সকলে তখন ঘুমিয়ে আচ্ছন্ন। সকাল বেলা যখন সকলের ঘুম ভাঙে সকলের লক্ষ্য করে সারা ঘরে রক্তের ছাপ। আর হল ঘরে, যে বড় আয়নাটা লাগানো ছিল সেটাও ভাঙ্গা। আর তাতেও রক্তের দাগ। পিনাকি বাবু তখন অঘোরে ঘুমাচ্ছেন।
তাঁর হাতে পায়ে ও রক্তের দাগ। অনেকবার তাঁকে জাগানো সত্ত্বেও তাঁর ঘুম ভাঙলো না। তারপর তাঁর চোখে জল ছিটানো হলো। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হলো না। কিছুক্ষণ পর পিনাকি বাবু বাজার থেকে দশমীর জন্য বড় বড় ইলিশ মাছ আর পাঁঠার মাংস নিয়ে এলেন।
সবাই ভয় পেয়ে যান দুজন পিনাকি কিভাবে দেখে। সবাইকে থামিয়ে আসল পিনাকী বাবু সকলকে অভয় দিয়ে বললেন, "আরে! ভয় পাওয়ার কিছু নেই তোমাদের সামনে যে শুয়ে আছে সে আসলেই একটি লাশ। আমি তাকে আমার মুখের মত মেকআপ করিয়েছি।"
রোহিনী: " তাহলে কাল রাতে আমরা একটা লাশের পাশে শুয়ে ছিলাম।"
রাতুল: " কিন্তু মামা! লাশ কি করে আমাদের সাথে গল্প করছিল?"
পিনাকী বাবু: " আরে মামু! লাশ নয়, আমিই তোমাদের সাথে গল্প করছিলাম। তোমরা সবাই শুয়ে যাওয়ার পর আমি আমার বডিগার্ডের দিয়ে এই লাশটাকে আমার জায়গায় শুয়ে দিয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম দুর্গাবতী ঠিক আসবে তার বদলা নিতে।"
রাতুল: " তার মানে এই লাশটাকে মেরে রানী দুর্গাবতীর আত্মা ভেবেছে যে ও তোমাকে মেরে ফেলেছে।"
পিনাকী বাবু: " এবার কিন্তু তোমাদের পালা।"
