আয়না (পর্ব ৭)
আয়না (পর্ব ৭)
আয়না
পর্ব ৭
রাতুল: " হ্যাঁ বলছি। কারণ একবার ভূতের কবলে পড়েছি বলে কি বারবার পড়ব নাকি? আরে এটা তো আমাদের কাছে একটা রোমাঞ্চকর অভিযান। হয়তো বাকি বাংলোগুলোতে এর থেকেও আরো ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে। রোহিনী, রিমি তোরা কি সব ভুলে গেলি? আরে ভূত দেখায় তো আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। ভুলে গেলি নাকি!"
কিছুক্ষণ ভাবার পর রোহিনি বলল, " রিমি! রাতুল কিন্তু একেবারে ঠিক কথাই বলছে। আর আমরা তো সেজন্যেই এখানে এসেছি।"
রোহিণীকে থামিয়ে দিয়ে পিনাকি বাবু বললেন, " চিন্তা ভাবনা পরে হবে। আগে বাড়ি ফেরা যাক।"
ভোর হয়ে এলো। পিনাকী বাবু রাতুল, রিমি আর রোহিণী সহ বাকিদের নিয়ে তাঁর প্রাসাদে মানে বাংলোতে ফিরলেন। সেখানে পৌঁছে তাঁরা সকলে স্নান করে খাবার খেয়ে যে যার ঘরে শুয়ে পড়লেন। অন্যদিকে ঘুমের মধ্যে পিনাকি বাবু বিড়বিড় করতে শুরু করলেন।
হঠাৎ তাঁর চিৎকারে পাশের ঘরে রাতুলের ঘুম ভেঙে যায়। সে পিনাকীবাবুর ঘরে ছুটে আসে। সে দেখে পিনাকি বাবু তাঁর ঘরের আয়নার দিকে তাকিয়ে আছেন আর গো গো শব্দ করছেন। রাতুল তাঁর গায়ে হাত দিতেই তাঁর জ্ঞান ফেরে।
রাতুল: " মামা! কি হয়েছে? তুমি এত ঘামছো কেন?"
পিনাকী বাবু: " জল জল….।"
রাতুল সঙ্গে সঙ্গে পিনাকীবাবুর খাটের পাশের টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটি এনে দিল। পিনাকি বাবু এক নিমেষে এক গ্লাস জল খেয়ে ফেললেন।
রাতুল: " মামা! এবার বল কি হয়েছে?"
পিনাকি বাবু: " হাঁপাতে হাঁপাতে । আমি রানী দুর্গাবতীকে এই আয়নায় দেখেছি। ও এসে বলল, " তোদের সবাইকে একে একে মরতে হবে।"
রাতুল: " তারপর!"
পিনাকি বাবু: " দুর্গাবতী আরো বললো, আজ রাতে আমার মৃত্যু হবে। আর সামনের এই আয়না থেকে দুর্গাবতীর আত্মা আমার দিকে হাত বের করে আমার গলা টিপতে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে আমার ঘুম ভেঙে গেল।