আমার ও পরান যাহা চায়
আমার ও পরান যাহা চায়
সবে সবে ভাত ঘুমটা বেশ জমিয়ে এসেছিল মনামীর চোখে। স্বপ্নেরা ধীরে ধীরে জাল বিস্তার করতে শুরু করেছিল। মনামী যেন মেঘেদের দেশে পাড়ি দিয়েছে। সাদা মেঘ যেন ছুঁয়ে যাচ্ছে মনামীর শরীর, মনামী হাত মুঠো করে মেঘেদের ধরার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা! হঠাৎ মনামী অনুভব করল তার মুখে কেউ জলের ছিটে দিচ্ছে,, মনামী ধড়পড় করে উঠে দেখে, ওর সামনে দাঁড়িয়ে বত্রিশ পাটি দাঁত বাড় করে হাসছে ঋষি। একে তো.... স্বপ্নে মেঘ ধরতে না.... পাড়ার মন খারাপ, তারপর সাধের ভাতঘুম নষ্ট করে দেওয়ার, পর ঐ হাসিমুখ দেখে মনামীর সর্বশরীর যেন রাগে জ্বলে উঠল। মনামী চিৎকার করে বলে উঠল
-------------এই শয়তান তোর কি.... দরকার এখন এখানে যা..... বের হ.... আমার ঘর থেকে! দূর.....হ আমার চোখের সামনে থেকে! তোকে আমার সহ্য হচ্ছেনা, আমার ঘুমটা তুই নষ্ট করে দিয়ে, আবার দাঁত বার করে হাসছিস? লজ্জা করেনা তোর...
-------------ঋষি মুখটা বন্ধ করে, মনামীর সামনে বসে বলল, আরে মনা.... রাগ করছিস কেন?, তোকে একটা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাব বলে তাড়াতাড়ি বাড়িতে মিথ্যে কথা বলে চলে এলাম আর তুই এই রকম করছিস...?
-----------মনামী মুখের জলটা মুছে আবার কাত হয়ে চোখটা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে বলল, আমি এখন কোথাও যাব না....!! তোর যেতে ইচ্ছে হলে একাই যা.....!
----------ঋষি মনামীর হাত ধরে টেনে উঠিয়ে দিয়ে বলল, তোকে আমার সাথে যেতেই হবে! আর তাছাড়া সামনের সপ্তাহে আমি আবার চলে যাব কাজের জায়গায়, তখন সারাদিন রাত তুই পড়ে পড়ে ঘুমাস, তখন কেউ জ্বালাতে আসবেনা।
-----------মনামী বন্ধ চোখটা খুলে ঋষির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল, ঋষি মুখ ফুলিয়ে বসে আছে অভিমান করে। মনামী ঋষির নাকটা টেনে দিয়ে বলল, খুব ইমোশনাল ড্রামা করতে পারিস তুই.....। আর কিভাবে আমাকে রাজি করাতে হবে সেটাও তোর জানা। আর কষ্ট করে মুখ ফোলাতে হবে না.....! তুই বস আমি রেডি হয়ে আসছি।
------------ঋষি আবার বত্রিশ পাটি দাঁত বার করে হেসে বলল, আমি জানতাম তুই যাবি কারন তুই আমার মুখের ওপর না.... বলতেই পারিস না...! আর ওখানে গেল তুইও খুব খুশি হবি, আমার বিশ্বাস।
------------মনামী বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল, তুইনা আমাকে খুব.... জ্বালাস...!!
------------ঋষি মনামীকে আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরে বলল, একশো বার জ্বালাব, হাজার বার জ্বালাব, তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা।
---------মনামী ঋষির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল থাক আর আদিখ্যেতা করতে হবে না...! সহ্য হচ্ছেনা, দেখব যখন তুই বিয়ে করবি তখন এই বেস্টফ্রেন্ডকে কেমন মনে রাখিস।
---------ঋষি মনামীর চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে উঠল, বিয়ে তো আমি তোকেই করব মনা, না.... হল আর কাউকে না....! আমার সমস্ত মন জুড়ে শুধুই তুই।
মনামী মুখ ভেংচি দিয়ে ড্রেস হাতে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেল।
****************************************
কিছুক্ষনের মধ্যে ড্রেস পড়ে বেড়িয়ে এসে আয়নার সামনে বসে সাজতে লাগল মনামী।
ঋষি একবার করে হাত ঘড়িতে সময় দেখছে আর মনামীকে তাগাদা দিচ্ছে..........
----------কিরে হলো... তোর??
------------মনামী চুল ঠিক করতে করতে বলল, এই তো.... হয়ে এসেছে আর পাঁচ মিনিট....!
----------ঋষি বিরক্তির সুরে বলে উঠল তখন থেকে পাঁচ মিনিট পাঁচ মিনিট বলে আধ ঘন্টা পার করে দিলি, আর কতক্ষন?? তুই আমার সাথে যাচ্ছিস বেড়াতে তোর বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেটিংএ না....! যে..... এত সাজতে হবে। যা..... সাজ হয়েছে ওতেই সুন্দর লাগছে, আর সাজতে হবেনা। ঋষি মনামীর হাত ধরে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যেতে লাগল।
-------------মনামী করুন সুরে বলে উঠল, আরে দাঁড়া লিপস্টিকটাতো লাগাতে.....দে....!
------------ঋষি বলে উঠল ঐসব লাগাতে হবেনা.....!! তোকে না... লাগিয়েই ভালো লাগছে।
-----------মনামী ঋষির হাত থেকে নিজের হাতটা এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে বলে উঠে, দূর..... ভাল্লাগেনা, একটু নিজের মত করে সাজতেও দিবিনা তুই আমাকে!! উফ্ অসহ্য। মনামী মাকে বলে ঋষির বাইকে বসে বেড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর মনামী বলে ওঠে.......
-----------এই আমরা কোথায় যাচ্ছি...??
--------------ঋষি বলে ওঠে, গেলেই দেখতে পাবি!! তাই তোর ঐ...... ছোট্ট মাথায় অত চাপ না.... নিয়ে চুপচাপ বসে থাক, আর আমাকে বাইক চালাতে দে...., তোর বকার জন্য আমার কনশেনস্ট্রেশনের প্রবলেম হচ্ছে...!
---------মনামী ঠোঁট ফুলিয়ে বলে উঠল, আমাকে নিয়ে আসার কি দরকার ছিল তাহলে?? একাই আসতে পারতিস!! আমি তো.... আর আসব বলে তোর হাতে পায়ে পড়িনি....!!
----------ঋষি আস্তে করে বলল, আমি তোকে ছাড়া কি......করে আসব বল, তুই ছাড়া আমার জীবন পথে চলাটাই যে.... বন্ধ হয়ে যাবে।
-----------মনামী বলল কি বলছিস? আমি কিন্তু কিছুই শুনতে পাইনি? যা.... বলবি জোড়ে বল।
----------ঋষি বলল, আমি শুধু বললাম.... তুই একটু চুপ কর তাহলেই হবে।
----------মনামী অভিমান করে বলল, ঠিক আছে যা.... আর একটাও কথা বলবোনা, বলেও বিড়বিড় করে বলতে লাগল, অসহ্য, শয়তান... ছেলে একটা, আমার সাধের ঘুম নষ্ট করে, আমাকে সাজতে না.... দিয়ে জোড় করে নিয়ে আসল নিজের সাথে, আর এখন আমাকেই কথা শোনাচ্ছে, আমি আর কথাই বলবোনা....!
----------ঋষি বলে উঠল, তুই না.... বকে থাকতে পারিসনা, কথা বলবোনা বলেও... কন্টিনিউ কথা বলেই চলেছিস...., বলেই চলেছিস.....,
-------মনামী আর সহ্য করতে পারলনা, ঋষির পিঠে জোড়ে একটা চড় মেড়ে বলে উঠল, বেশ করব কথা বলব, একশোবার বলব, হাজার বার বলব, আমার মুখ..... আমার কথা, তাতে তোর কি..... শয়তান?
-----------ঋষি হাসতে হাসতে বলল, তোর মুখ ব্যাথা করেনা...! তোর কথা শুনতে শুনতে আমার কান ব্যাথা হয়ে যায়।
----------মনামী চিৎকার করে বলে উঠল, এই শয়তান তুই বাইক থামা.....!! এক্ষুনি আমি নামব, আমি তোর সাথে কোথাও যাবনা...! তুই বাইক থামা। থামা বলছি......
ঋষি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাইক থামাল। মনামী বাইকে বসেই কাঁদো কাঁদো গলায় চারিদিক দেখে বলে উঠল........
----------বাইক থামাতে বললাম আর তুই থামিয়ে দিলি, এই ফাঁকা রাস্তায় আমি একা বাড়ি ফিরব কি করে?? আর রাস্তাটাও তো.... চিনিনা মনে হচ্ছে!! এই তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড?? মাঝ পথে ছেড়ে দিচ্ছিস, এর জন্য তুই আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসলি, এই তুই সত্যি করে বলত কি.... চাইছিস, আমাকে মারার প্ল্যান করেছিস নাকি? কিন্তু আমাকে মেরে তোর কি লাভ
---------ঋষি ধমক দিয়ে বলে উঠল, নাম আমার বাইক থেকে এক্ষুনি নাম.....!!
--------মনামী বাইক থেকে নেমে সোজা এগিয়ে যেতে লাগল আর জোড়ে জোড়ে বলতে লাগল, আর কোনদিনও তোর বাইকে চাপবোনা, তোর সাথে কোথাও বেড়বোনা, তোর সব গোপন কথা গার্লফ্রেন্ডদের কথা কাকু, কাকিমাকে বলে দেব...!
----------ঋষি বাইকটা সাইড করে ছুটে গিয়ে মনামীর হাতটা ধরে বলল, কোথায় যাচ্ছিস আমি কি.... তোকে যেতে বলেছি...??
---------মনামী ঋষির হাত থেকে নিজের হাতটা ছাড়াতে ছাড়াতে বলল, কেন.....এখন তোর কথায় আমাকে চলতে হবে নাকি?? আমি তোর কোন কথা শুনবোনা!! তুই আমাকে অপমান করেছিস,জোড় করে নিয়ে এসে...!!
-------ঋষি হাসতে হাসতে বলল, অপমান কখন করলাম...??
---------মনামী দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠল, একদম হাসবিনা, খুব হাসি পাচ্ছে না....! আর একবার হাসলে মেরে তোর বত্রিশ পাটি দাঁত ভেঙ্গে দেব শয়তান বদমাস ছেলে...।
-----------ঋষি মনামীর হাত ধরে টানতে টানতে এগিয়ে যেতে লাগল, আর বলতে লাগল, ভালোই হবে দাঁত ভাঙ্গা বন্ধুর সাথে ঘুরে বেড়াবি, আর সত্যি তোর মাথায় এইসব কথা আসে কি..... করে? আমি তোকে মারতে যাব কেন??
---------মনামী বলে উঠল, কেন মারবি না.... তোর তো অনেক রাগ আমার ওপর, তোর গার্লফ্রেন্ড দের ভাগিয়ে দিয়েছি বলে,মনামী ছাড়.... বলছি ছাড়.....আমাকে, করতে করতে ঋষির পিছন পিছন চলল।
*****************************************
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর ঋষি দাঁড়িয়ে পড়ে, দূরে হাত বাড়িয়ে মনামীকে দেখতে ইশারা করল। মনামী ঋষির হাতকে লক্ষ্য করে তাকিয়ে দেখল সামানে ফুুলের পর ফুলের চাদর বিছানো তার মাঝখান দিয়ে দিয়ে সুন্দর করে আলপথ বানানো, দূরে সবুজের পর সবুজ কচি ধানের চারা, মনে হচ্ছে মাটির বুকে সবুজের গালিচা বিছানো আছে, আর রঙ বেরঙের ফুল দিয়ে সেই গালিচার ওপর কারুকার্য করা। আর সুবজ ছাড়িয়ে আরও দূরে খেঁজুর গাছের সারি, আর সেই সারিবদ্ধ গাছের পাঁতার ফাঁক দিয়ে পড়ন্ত সূর্য় তার শেষ আলো ছড়াচ্ছে। মনামী দুচোখ ভরে সৌন্দর্য দেখে চলেছে, ঋষির সাথে ঝগড়া করতে করতে খেয়ালই করেনি মনামী, ওকে এত সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে এসেছে ঋষি। মনামী ঋষির হাতের বাঁধন ছেড়ে আনন্দে প্রজাপতির মত ডানা মেলে ছুটে চলল আলপথ দিয়ে।
যেতে যেতে ফুলের মাথার ওপর বুলিয়ে দিতে লাগল আদুরে ভালোলাগার স্পর্শ। ঋষিও ছুটে চলেছে মনামীর পিছন পিছন। মনামীকে এই সুন্দর অনাবিল আনন্দ দেওয়ার জন্যইতো এখানে নিয়ে আসা, অবশ্য আরও একটা কাজ আছে ঋষির, এত দিনের মনের কোনে জমে থাকা অগোছালো কথা গুলো গুছিয়ে মনামীর সামনে বলা। দৌড়াতে দৌড়াতে খেঁজুর গাছের সারির কাছে এসে ধপ করে বসে পড়ল মনামী, হাঁপিয়ে গেছে আর দৌড়াতে পারছেনা। ঋষি মনামীর পাশে বসে পড়ল এবং হাঁফাতে হাঁফাতে বলল........
----------কিরে খুবতো আমাকে যা.... পারছিলিস তাই বলছিলিস....এখন বল কেমন লাগছে??
----------মনামী আনন্দে আলতো করে ঋষিকে জড়িয়ে ধরে বলল, খুব.... খুব... খুব.... ভালো লাগছে, এর জন্য তোকে আমি এত.... ভালোবাসি।
-----------ঋষি গভীর দৃষ্টিতে মনামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, সত্যি.... ভালোবাসিস মনা!!
--------মনামী ঋষির এই গভীর চাউনির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল।
-----------ঋষি আবার বলে উঠল, কিরে আমার প্রশ্নের উত্তর না.... দিয়ে মাথা নীচু করে নিলি যে....??
----------মনামী নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, বাসিতো, তোকে খুব..... ভালোবাসি, আর তাইতো তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড.....
----------ঋষি একই ভাবে মনামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, আমি শুধু তোর বেস্টফ্রেন্ড হয়ে থাকতে চাইনা মনা!! আমি চাই তোর সাথে জীবন পথটা চলতে, তোর রাগ, অভিমান, ঝগড়া, পাগলামো সবকিছু সহ্য করতে, তোকে সারা জীবন ধরে জ্বালাতে, বিরক্ত করতে,তোর জীবন আনন্দে হাসিতে ভরিয়ে দিতে। কিরে তোর এই আগোছালো জীবনটাকে আমাকে গুছিয়ে নিতে দিবি। আর আমার এই অগোছালো জীবনটা সুন্দর করে গুছিয়ে রঙিন করে তুলবি তুই তোর ভালোবাসায়।
মনামীর চোখ তখন জলে ভরে এসেছে, এর কি..... উত্তর দেবে মনামী। এতদিন ধরে মনে মনে যে..... মানুষ টাকে চেয়ে এসেছে, আজ সেই মানুষটা ওর কাছে ধরা দিতে চাইছে। মনামীকে চুপ থাকতে দেখে ঋষি আবার বলে উঠল.........
-----------অনেক দিন থেকে বলব বলব করে বলে উঠতে পারিনি ভয়ে!!! যদি তুই ভুল বুঝে দূরে চলে যাস, আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আর না....বলে থাকতে পারলাম না...! তাই বলে দিলাম আমার মনের কথা, আর তোকে হ্যাঁ..... বলতেই হবে তার কোনো মানে নেই, নাও..... বলতে পারিস, তবে তোকে একটা রিকুয়েস্ট আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট করে দিসনা প্লিজ.....তাহলে আমি আর বাঁচতে পাড়বনা।
-----------মনামী চোখের কোনে আসা জলটা আলতো ভাবে মুছে বলে উঠল, তাহলে রুমা, লিপি, মনিকা, রোজি এদের কি... হবে??
----------ঋষি ঠোঁটের কোনে একটা চওড়া হাসি ফুটে উঠল, ঋষি দুষ্টুমি করে বলে উঠল, কেন...... ওরা ওদের মত থাকবে!
-----------মনিমী ঋষির পিঠে একটা কিল মেরে বলল শয়তান, "গাছেরও খাবি.... আবার তলারও কুড়োবি...."!
-----------ঋষি মনামীকে আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরে বলল অত ভালো কি আর আমার কপাল, ভালোবেসেছি একটা আস্ত পাগলী কে, তাছাড়া ওদের সাথে ঝগড়া করে কবেইতো তুই....ওদের ভাগিয়ে দিয়েছিস...!!
----------মনামী বলল বেস করছি, একশো বার করব, হাজার বার করব, তুই আমার... আর অন্য কারোর সাথে আমি তোকে সহ্য করতে পারিনা....!
----------ঋষি মনামীর কপালে ভালোবাসার গভীর স্পর্শ এঁকে দিয়ে বলল, আমি শুধুই.... তোর, শুধু... তোর।
-----------মনামী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল,
------------ঋষি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠল, এই মনা মনা কি..... হল কাঁদছিস কেন?? আমি কি..... কিছু ভুল করেছি....?
-----------মনামী কাঁদো কাঁদো গলায় বলে উঠল, করেছিস তো......! তোর জন্য সবকিছু হয়েছে!!
------------ঋষি মনামীর চোখের জল মুছিয়ে দিতে দিতে বলল, কি..... হয়েছে বলবি তো..... আর এইভাবে কাঁদছিস কেন......?
------------মনামী বলে উঠল, আজ তুই আমাকে প্রোপোজ করবি বলে নিয়ে আসলি এখানে, আর আমাকে একটু সাজতে দিলিনা লিপস্টিকটাও লাগাতে দিলিনা, দূর..... ভাল্লাগেনা।
----------ঋষি হাসতে হাসতে মনামীকে বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে বলে উঠল, আমার পাগলী একটা........
তোর যা..... কিছু অগোছালো,
তাই আমার কাছে সুন্দর,
তুই.... টাই আমার ভীষণ পছন্দের...,
তোর বন্ধনেই বাঁধা পড়তে চাই...
আমি জন্ম জন্মান্তর।