যেদিন তুমি এলে
যেদিন তুমি এলে


যেদিন তুমি এলে,
নীলনদে, সেদিন এসেছিল হঠাৎ, ভীষণ প্লাবন;
রোমাঞ্চে সেজেছিল সেদিন ,মিশরীয় সুখী সমতল।
উপচে পড়া পলিমাটিতে জন্মেছিল কত কত জীবন।
গম্ভীর ঢেউয়ের নিনাদ ,তোমায় শোনাতে চেয়েছিল;
কত সহস্র বছরের ,অভিমানী বাদলের অশ্রুর ভাষা।
মরুঝড় পারে নি ছুঁতে,আলতো তোমার আদুরী চিবুক।
যেদিন তুমি এলে,
পিরামিডের বক্ষস্থলে ,ফারাওয়ের জেগে ওঠা;
হাজার হাজার বছরের ,নিদ্রিত নির্বাসনের পর।
আবার আরেকটা নতুন সভ্যতার বীজ বপনে;
নতুন সাম্রাজ্যের শাখা প্রশাখার মহীরূহ।
গুপ্তধনের খোঁজে আসা তস্করের, হয়েছিল নিবৃত্তি।
আবার অভিষেক,আবার রাজ্যপাটের দায়বদ্ধতা।
যেদিন তুমি এলে,
পায়ে পায়ে মরুদেশী স্রোতের বালিপথে হেঁটেছিলাম;
কাঁটাগাছে ঘেরা নামহীন বালিয়াড়ির ঊষর উদ্যানে।
ছিল সাদা জোছনার বুননে মখমলি বিছানো চাদর;
আতরগন্ধী সুবাসে ভরা ছিল নহবতী মহফিলখানা।
সুর্মার ছোঁয়ায় ,চোখের উপর স্বপ্নগুলো আঁকছিল;
একটি সুবাসিত ঘরের আপনার গৃহকোণ।
আজও সেই স্বপ্নের ভেতর নীল নীল স্বচ্ছতার স্রোত,
অনামিকায় খোঁজে,একদা প্রতিশ্রুতির সেই অঙ্গুরীয়।
আজও সিনাই পাহাড়ের শীর্ষে, মিশরীয় পদ্ম হাতে;
অপেক্ষার ব্রজবুলি অক্ষর, লিখছে হারানো ইতিহাস।
হয়তো ফিরবে তুমি, আরও একবার নদীসভ্যতায়;
আরও একবার উর্বরা সুখের সন্ধান,মরু উপত্যকায়।