হঠাৎ দেখা
হঠাৎ দেখা


অফিস থেকে ফিরে বড্ড ক্লান্ত লাগে,
অনেক রাত হয়ে যায়।
রোজই লেগে থাকে সমস্তদিন কাজ।
আবার রাত টুকু ঘুমিয়ে সকালে উঠেই ছুটতে হবে।
রোজ নানা তেল দেওয়া কথা শুনতে শুনতে- যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি,
তখন ই তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় হঠাৎ।
আগে তো আমাদের নিয়মিত দেখা হতো বলো।
আকাশে মেঘ জমা হলেই আমাদের ভিতরে- উপচে উঠতো একটা সমুদ্র।
একসাথে গল্প করতে করতে কত বর্ষা বিকেল কাটিয়েছি দুজনে।
অথচ এই তো গতকাল বৃষ্টির সময় অফিসের- করিডোরে এসে দাঁড়ালাম যখন-
একঝলক তোমায় দেখলাম কেমন বিষন্ন,
ভাবে তাকিয়ে আছো আমার দিকে।
সেই সময়ই টুং টাং শব্দে ম্যাসেজে আমার-
ফোন জানান দিল যে স্যালারি এসেছে।
মুখটা তুলে আর তোমায় দেখতে পাই নি।
এখনো আমাদের ঘরে একটা বইয়ের আলমারি,
কবিতার খাতা ,বাঁশি টা আমাদের অপেক্ষায় আছে ।
তারা সারাজীবন অপেক্ষা করে যাবে জানি -
আমিও আস্তে আস্তে স্যালারির টাকা গুলোর, কাছে পৌঁছনোর জন্য বুড়ো হয়ে যাবো।
শুধু তোমার সাথে কোন বর্ষাবিকেলে,
বা নিস্তব্ধ দুপুরে সিঁড়ির কাছে,
হঠাৎ ই দেখা হয়ে যাবে।
কারণ বড়ো হয়ে গেলে আর তো নিজেকে,
খুঁজে পাওয়া যায় না।
শুধু স্যালারির অংক আর হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়া টুকু নিয়ে ক্রিজে টিকে থাকতে হয়।