"ঋণ"
"ঋণ"


আজও স্পষ্ট মনে আছে ছায়াদোলা সঙ্গত নিরালায়,
সকাল আর মধ্যাহ্নবেলার আজন্ম বিবিধ কিছু ঋণ!
রেখে এসেছিলাম অপরিচিতা নদীটার কাছে পড়ন্ত বিকেলবেলায়।
বিস্তৃত ভালোবাসা, প্রবাহিত অভিমান, মূর্ত হাসি কান্না,
ছায়া পার হয়ে অরব নদীর দেশে শান্ত একাগ্র সমারোহে,
মেঠোজমিনের ধু-ধু শরীর ছুঁয়েছিল অবেলার আকাশ অঙ্গনা।
কিছু কালির আঁচড় হিজিবিজি অস্পষ্ট,গভীর ক্ষত শ্লেষ,
মেঘ-রৌদ্রের অন্বয়ের আন্তরিক অবকাশের কিছুটা ক্ষণ,
কিছু বাসি মালা বকুলের সুবাস ছড়ানো সমর্পণ বিস্মৃতির রেশ।
প্রশ্ন জাগে,নীরব স্বীকৃতি কী ছিল আঁধারঘেরা কালো জলে!
নদীটা কি বুক পেতে নিয়েছিল সিন্দুক স্মৃতিভারের ঋণ!
জ্যোৎস্না রাঙানো তিরতির ঢেউয়ের ছন্দোময় নন্দিত আঁচলে!
জানা নেই সে খবর, অনিবার্য প্রতিবাদহীন প্রাপ্তিস্বীকার,
স্নেহের ছলাৎ জলে ডুবেছিল কি বিশ্রামের নীরব উৎসর্গ!
বাঁধন জীবনের আগলে রাখা দেরাজের পুরোনো গন্ধ বিলাসিতার!