কর্ত্তব্য
কর্ত্তব্য


যে দায়িত্ব মোরে
অর্পন করেছ প্রভু
বহিবারে দাও
শকতি অবিনাশী,
যে কর্ত্তব্য তরে
করেছো আহ্বান,
তারই তরে করো
মোরে আত্মবিশ্বাসী।
সুপ্ত শক্তি যত
করিতে জাগ্রত
দিয়েছ মোরে
আপন ধর্ম,
অনুভবি যেন তারে
অনুখনে চিতে
পুরাতে তোমার
নির্দেশিত কর্ম।
সত্য পথে চলিতে
দাও গো শক্তি
তোমার আশির্ব্বাদী বীরত্বে,
মহা পুন্যের লভিতে
ফল ভিক্ষা দাও
প্রভু মোরে মনুষ্যত্বে।
শুচি-অশুচি ভেদা ভেদ
তুমি অন্তর হতে
করো লীন,
তোমার আশীষে
অন্তর মাঝে যেন
পায় আসন দীন-হীন।
আদি শক্তি মহামায়া
সৃজিলো মানবে
অনেক বাসনা নিয়ে
অশুচিকে মানবেই
করিছে বনবাসী
শুচিকে সুবাসিত
মালায় সাজিয়ে।
বিশ্বপিতা সৃজিলো
যখন মানবে
ছিল কি সেথা
কোন ভেদ বাণী,
না কি 'সবার উপরে
মানুষ সত্য'
রচিছে অাহরহ
সে গূঢ় কাহানী।
সে ফুলমালা আজি
বিঁধিছে গলে
আপনার কন্টক মালা সাজি।
শুচি-অশুচি ভেদে
মিলন রাতি শেষে ফোটে
>
না ঊষা আলোক রাজি।
পাখি কলতানে
ভ'রে না ভুবন
প্রাতের স্নিগ্ধ
আলোক সজ্জায়,
জাত-পাত ভেদ দূষণে
জ্বলিছে পৃথিবী
শুদ্ধ শুচিই
আরক্তিম লজ্জায়।
ভেদের কঠোর
শৃঙ্খল টুটিতে
সাজো সাজো
বীর রণসজ্জায়,
ভাঙ্গিয়া প্রাচীর
শুচির আসনে
বসাও সবায়
বাচাও সমাজ লজ্জায়।
অশুচিকে ফেলিতে পিছে
শুচির আসনই চিছে পিছে,
ভেদের সোনার শৃঙ্খলে
বাঁধা পড়ে
বীর তুমি কেন
মরিবে মিছে।
জন্ম লগ্নে সুরেলা কান্নায়
মোহিত করে সবে শিশু
আশীষে তাকে ধন্য করে
পরমেশ-আল্লা-যিশু।
তবে কেন মোরা
জাত-পাত ভেদে
সমাজ সুখ বাঁধনে
করি কুঠারাঘাত,
শুচি-অশুচির গন্ডির
মাঝে কেন আসে জীবনে
বিষম বিপদ পাত।
তোমার আশীষে প্রভু
অনাথ শিশুকে ও বাঁচায়
পিশাচ পশু বন্য,
ধরার মাঝে জীবনে করিতে
ধন্য নিশান তোমার অনোন্য।
সেই নিশান তোমার চিনিতে
দিব্য আলোক জ্বালাও চিতে,
জ্যোতির ছটায়
ক'রো দুরীভুত
ভেদা-ভেদ আঁধার
বিশ্ব-সংসার হিতে।।