এক দুই তিন
এক দুই তিন


মিষ্টি সুরের দুষ্টু ছড়া
চাও যদি কেউ শুনতে
এক থেকে দশ অবধি
হবে কিন্তু গুনতে।
গোনার শুরু এক থেকে
শোনো বার বার
চন্দ্র সূর্য্য ভগবানের
জুড়ি নেইতো আর।
নানান রূপে আদিশ্বর
বিরাজিত সত্য
নানান তত্ব মাঝে বুঝি
তিনিই শুধু নিত্য।
একের পরে এক যোগে
দুই হবে জেনো
দু'য়ের পরে তিন হবে
এ কথাটি মেনো।
দুইটি পক্ষ শুক্ল কৃষ্ণ
আছে প্রতি মাসে
তারাই শুধু চক্রাকারে
ঘুরেঘুরে আসে।
দুইটি নেত্রে দেখি সদা
কেমনে হয় তিন
পড়া শুনা করলে পাবে
সত্যিই একদিন।
জ্ঞানের সাথে জ্ঞান চক্ষু
খোলে সকলের
তাই বুঝি বা এই প্রবাদটি
বড় আদরের।
দু'য়ের সাথে দুই গুনলেই
চারের পাবে দেখা
তিনের পরে আসে চার
ধারাপাতে লেখা।
বেদের আছে চারটি ভাগ
জানে সকলেই
অনিত্য নিত্য তত্ব
সবে জানাতেই।
প্যাঁচা মুখো নয়তো পাঁচ
যদি শেখো আঁকা
যদিও তার মাঝে আছে
একটু খানি বাঁকা।
লেখাপড়ায় ঝক্কি আছে
বুদ্ধি বাঁকে বাঁকে
সন্ধি ক'রে চললে বিদ্যে
ঢোকে মাথার ফাঁকে।
ছয়েতে হয় ছুচো মশাই
সবাই এতো জানে
তিনকে করো দুই দিয়ে গুন
ছয় পাবে সব খানে।
ছয় ঋতু আসে কেমন
ঘুরে বারো মাসে
প্রতি ঋতুর সাথে মাতা
বসুমতি হাসে।
সাতে আছে সাত সমুদ্র
ছড়া কাটে সবে
ছড়ার গানে শিশুগণে
মাতায় কলরবে।
এক সপ্তাহ সাত দিনে হয়
ভাবো মনে মনে
রবিবারের দিনটা মাতায়
শিশু জনে জনে।
আটের সুরে মনে পড়ে
অষ্টবসুর কথা
সুরের দোলায় দোলে সবে
দেখি যথা তথা।
চারের সাথে চারের যোগে
আট যে দেখা দেখা দেয়
চার আর দুই গুনেতেও
মেলে ভাই তায়।
ন'য়ের ছন্দে নয়ের নাচে
মাথাটি খুব নাড়ে
তাই বুঝি ভাই সকলেরই
ব্যথা করে ঘাড়ে।
নবগ্রহ নয়টি রত্নে
তুষ্ট হয় বটে
খাঁটি রত্নের মহিমায়
ভাগ্যে সুদিন ঘটে।
একের পিঠে শুন্য রেখে
দশ সকলে লেখে
ছড়ার তালে খোকাখুকু
আঁকে আর শেখে।
সমাজ হিতে দশে নিয়ে
আনন্দেতে থাকি
দশের কাজে দেশনেতা
দেয় না কাজে ফাঁকি।
দশের সাথে মিলেমিশে
যদি করো কাজ
ঘুচে যাবে দেশ মাতার
দুঃখ ভয় লাজ।
পাঁচের সাথে পাঁচ যোগে
দশে প্রাণ পায়
পাঁচের সাথে দুই গুনেতেও
কেহ তারে চায়।
ছড়ার তালে এমন ভাবে
পড়া হ'লে শেখা
শিশুর মনে রবে আঁকা
যেন স্বর্ণ লেখা।।