স্কন্দ গিরির সূর্যোদয়
স্কন্দ গিরির সূর্যোদয়
স্কন্দগিরির চূড়ার পরে
বিশাল খাড়াই ঢালের ধারে,
আগের রাতের পাহাড় ঠেলা
ক্লান্ত পায়ে ভোরের বেলা
সবাই মিলে গুটিয়ে বসে
পূবমুখ করে নির্নিমেষে
তাকিয়ে থাকি সজল চোখে
হিমেল বাতাস শরীরে মেখে।
.
ঠান্ডা হাওয়ার বেদম বানে,
কমলাকালো আকাশ পানে
মেঘের নাচন এঁকে বেঁকে
নন্দীপাহাড় উল্টো দিকে;
দূরের গ্রামের টিমটিমানো
আলো সকল বুজল যেন
ভোরের আসার আগের বেলা,
হালকা হলুদ মেঘের খেলা।
.
এমন সময় হঠাৎ করে
সপ্তরথী ঝিলিক মারে!
মেঘের বাড়ির ভিতর হতে
মুখ বাড়িয়ে পাহাড়-ছাতে,
কনকনানো হওয়ার মাঝে,
জ্যোতির্ময় যে সোনার সাজে!
রক্তবরণ ধীরে ধীরে
জ্বলজ্বলালো সময় ফেরে।
.
হিমেল মরূৎবায়ের দেশে,
মেঘের সফেদ ঘন কেশে
ছড়িয়ে পড়ে সোনার আলো,
চকচকে ঢেউ নজরে এলো।
হওয়ার গতি বেজায় বেশি,
শীতের প্রকোপ সব্বনেশি,
সবার দু চোখ ছলছলালো,
হাড় হিম করা কাঁপুনি দিলো।
.
অরুনরাগের উদয়াচলে
সোনার মতন থালার তলে
দিগন্তরেখা ধীরে ধীরে
স্পষ্ট হলো বেশি করে।
নিচে তাকালে মাটি কালো,
উপরে আকাশ আলোয় আলো।
সময় গেলে আলোর রেখা
করবে জগৎ আলোয় মাখা।
.
ফিরতি পথে নেমে পড়ি,
পাহাড় ভেঙে রাস্তা ধরি,
না ঘুম রাতের ক্লান্তি নিয়ে,
শ্রান্ত মন ও শরীর বয়ে।
মনের কোঠায় ভাসছে এখন
সূর্যোদয়ের রঙিন তখন,
অবাক করা সকল ছবি
মেঘের মাঝে সোনার রবি।।

