মিলেমিশে
মিলেমিশে
কাছেই হয়তো কোথাও, বৃষ্টি তো হয়েছে নিশ্চয়,
উত্তরের জানালা দিয়ে ঘর ভরেছে শীতল হাওয়ায়।
কটকটি ব্যাঙ ঘরেই লুকিয়ে লুকিয়ে তবলা বাজায়,
তাল দিতে গিয়ে আরশোলাতেও বাজায় যেন ড্রাম।
ল্যাপটপের রেকর্ডে গান গাইছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
পরশুর ঝড়ে, যদিও ঝরে গেছে গাছের কিছু আম,
পাশের বাড়ির মেয়েটি হঠাৎ বাজাচ্ছে হারমোনিয়াম।
শামুক বাবাজি, বড়ই পাজি, পোজ দিতে রাজি নন,
ছবি তুলতে গেলেই নট নড়ন চড়ন, আরষ্ঠ হয়ে যান।
খাবার টেবিলে একটা কাঠ পিঁপড়ে এসে পড়েছেন।
ওনার চলন বলন দেখে মনে হয় ম্যাজিক জানেন !
গতিবিধির ওপর নজর রাখতে গেলে নিজে থেকেই,
কি করে যেন সবটাই বুঝে যান, আর ফাঁকি দেন।
ছবি তুলতে গেলে , টেবিলক্লথের তলে গিয়ে লুকান,
আর সরিয়ে দেবার বুদ্ধি করলে, অভিনয় করেন।
কিছুক্ষণ স্রেফ রীতিমতো মরা সেজে পড়ে থাকেন !
সেই ফাঁকে টিভিতে ইউক্রেনের খবরে চোখ রাখলে,
নিমেষেই কি করে যেন একদম ভ্যানিশ হয়ে যান।
কি আনন্দ আমাকে জব্দ করে তা টিকটিকিই জানে,
কিছু বুঝুক আর না বুঝুক, ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক,
নিজের মনে কতবার যে বলে, কে আর তা গোনে ?
আজকাল ইঁদুরের উপদ্রব একটু কমেছে বলেই,
ঘর বাড়ি ফাঁকা হয়েছে মনে করার কোন কারণ নেই,
ডাহুক, ফিঙে, গাঙ-শালিক, বুলবুলি, দোয়েল, চড়ুই,
জানি তো দেখা দেবে আমায় রোজ সকাল হলেই ।
শুনে কাঠবিড়ালি, কাক ও কোকিলের কথপোকথন,
বেজিদের পরিবার চুপচাপ সব করেন পর্যবেক্ষন ।
তবে থাকে সকলেই মোটামুটি মিলেমিশে বলা চলে,
প্রয়োজন ছাড়া, কেউ কাউকে করেনা তো আক্রমণ।