নিক্কন
নিক্কন
নূপুরের রিনি ঝিনি, কিনি কিনি, রিমঝিম, নিক্কন,
তার সাথে মেঘেদের গমগমে ডম ডম ডম্বরু গর্জন।
এভাবেই শুরু বিনায়ক চতুর্থীর আজকের এই দিন,
কাল পঞ্চমীতে হবে সরস্বতী ঠাকুরের আগমন।
খনার বচনের কথা গুলো কেন যেন মনে পড়ে যাচ্ছে,
জানি শুধু মাঘ মাস বেশ কিছুদিন আগেই পড়েছে।
কিন্তু আজ মাঘের কত তারিখ হিসেবটা বড় জটিল,
বাংলা ক্যালেন্ডার দেখতে হাতে তো আছে মোবাইল।
যতদূর মনে পড়ে এখন মাঘ মাসের শেষ দিক হবেই,
সুতরাং এবছর "ধন্য রাজার পূণ্য দেশ" হবে নিশ্চয়ই।
খনার বচন তো জানি সব ছিল কৃষকদের তরেই,
রাজা ভালো থাকেন কৃষকের জমিতে ফসল হলেই।
সার্বভৌম দেশে সকল প্রজা নাকি রাজার সমান,
সত্যিই ফলন ভালো হলে সকলেই ভালো থাকেন !
আসলে কৃষক খুশী ফসল ঠিকঠাক দামে বিকোলে,
মানুষ খুশী সবকিছু একটু কম দামে কিনতে পারলে।
গ্রামের মানুষ স্বপ্ন দেখেন সারা বছরের খাবার, বাড়ির মেয়ের গায়ের গয়না, পায়ের নুপুর পরাবার ।
ঝুমঝুম শব্দের নেশা মনটাকে আজও খুশী করে,
বুঝতে পারে মেয়ে বা বৌ হয়তো যাচ্ছে পুকুর ধারে।
শহরের মেয়ের হাইহিল জুতো রাস্তায় খট খট করে,
খালি পায়েই মানায় নূপুর জুতো ছাড়া চলে কি করে!
রূপোর এই গয়নাটা কেমন যেন সন্দেহজনক,
শব্দ করে বলে অনেকে নূপুরকে স্পাই মনে করে।
ধীরে ধীরে গ্রামের মাটির রাস্তাও পাকা হোক,
কিন্তু তার সাথে আশেপাশেও একটু সবুজ থাক।
তার সাথে মানুষের মনটা যেন না হয়ে ওঠে কংক্রিট,
বাড়ির দেয়ালের গাঁথুনিতে অবশ্যই থাকুক ইট।
বন্যা কিংবা খরায় বাড়ি গুলো যেন টিকে থাকে,
নূপুর পরা মা কি বেড়া বেঁধে কাউকে ভালো রাখে !