চাইলেই পাওয়া যায়
চাইলেই পাওয়া যায়
"তোমাকে চাই" কথাটা শুনলেই গলা মনে পড়ে যায়,
আমাদের অনেকেরই প্রিয় সেই সুমন চট্টোপাধ্যায়।
প্রথম বার শুনেই, ওনার গানের প্রেমে পড়ে যাই,
ক্যাসেটটা না কিনে ছিলনা আমার কোনো উপায়।
বার বার শুনলেও কিছুতেই লাগতোনা একঘেয়ে,
আমি তো ছিলাম তখন বছর একুশের এক মেয়ে।
"এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই" অর্থ কি গভীর!
হাড়ে হাড়ে বুঝেছি যে সেকথা আমার বিয়ের পর।
বর ও বাবাশ্বশুর দুজনেই যে চরম চা খোর।
দীপক বাবু, অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"দিনে এতবার চা করেও কি করে বিরক্ত না হন?"
মুখে মাখানো রহস্যময় এক হাসি, ওদের ভালোবাসি।
মুখে সেকথা বলার দরকার নেই, উনি বুঝে যান।
কিন্তু আজকাল মাঝেমধ্যে, বিশেষ করে খাবার পর,
এক আধটু বিদ্রোহ করি, বলে উঠি, পারবোনা আর।
তার মানে কি ভালোবাসা কমে গেছে! না না তা নয়,
কাজের এনার্জিটা এখন একটু কমে গেছে বোধ হয়।
শ্বশুর মশাই থাকতে মাঝে মাঝে নিজে চা বানাতেন,
আজ রাতেও তো তাঁর ছেলে নিজেই চা বানালেন।
কখনও তো উনি আমাকেও চা-কফি করে খাওয়ান!
আমরা জীবনে কি যে খুঁজি আর কাকে যে চাই,
এই সহজ কথাগুলো যদি সত্যিই ঠিকঠাক বুঝে যাই,
কোনো দুঃখ সহজে আর ছুঁতে পারবেনা কিছুতেই ।
না বুঝতে পারলে, মানুষ যে ছুটে বেড়ায় অকারণেই।
ধর্ম পরিবর্তন করে হয়েছেন যে উনি কবির সুমন,
আপামর বাঙালির কাছে তবুও তাঁর স্হান অম্লান।
রাজনীতিতে গিয়ে হারিয়েছেন আজ কবীর সুমন!
যতই জল ঘোলা হোক না তার নিজস্ব জীবন নিয়ে,
কিছু কথা ও সুর উনি বাঙালিদের দিয়েছেন গিয়ে।
"সুমন চ্যাটুজ্যের একঘেয়ে সুর" চাইলেই পাওয়া যায়,
তোমাকে চাই, সুমন, আমরা সকলেই তোমাকে চাই,
না ফেরার দেশে গিয়েও তো এভাবেই ফেরা যায়।