বুক চিড়ে দেখাতে পারি না বলে
বুক চিড়ে দেখাতে পারি না বলে
আমার সামনে বিনম্র পাহাড় হয়ে তুমি দাঁড়ালে
আমি ঘাসের ঘসা খেয়ে,শিশির জড়ো করলাম
তুমি শীতের মর্মবেদনা ঠুকে,বললে-এই দ্যাখ
ধোঁয়াশা
আমি সেই ধোঁয়াশায় মুখ দিয়ে,আরও
সারে চার বছর পড়লাম. ..
আর বুঝলাম না তোমায় কিছু,
বললাম উপলব্ধি করছি সহস্র অশ্রুঘেরা মাঠে,
তুমি বললে এরম কেন কর?আমি বললাম করব না?
তুমি ওরম করলেই তো আমার কড়াইশুটির শরীর
ফেটে,
ছড়িয়ে পড়ি তুচ্ছ দানা দানা হয়ে তোমার খাবারে
তুমি একনিষ্ঠকে ঘেন্না কর বলে,আমি ক্যসুয়াল লিভে
চলে যাই
দুরের সমুদ্র থেকে জাহাজ ফিরিয়ে আনে সেই শব্দ
যে শব্দকে আমি বুকের মধ্যে পাই।
তাতেই বা কি হয়,এই নিজেকে ভালবাসাটাও,
>এখন সবাই জেনে গেছে
জেনে গেছে তুমি একা একা নাকি মৃত্যু ফিরে পাও
আমি ছেকে নি ঠিক সেটুকুই স্বচ্ছতা,যা তুমি আমাকে নয়
সকলকে দিতে চাও,
সকলে তো আর নিতে চায় না সহস্র জীবন
যদি হেরে যেতে পারো আবার,দেখবে আমিই
সবচেয়ে বেশি খুশি হব,
কিছুই হবে না,কোন এক দুপুরবেলায় তোমার মনে
ঠোকা দিয়ে,আবার দূরেই চলে যাবো।
তুমি থামতে জানো,তুমি মানতে জানো,তাই তো আমিও
তোমার ধর্মে,বহু অবর্ণেও চিৎকার করে বলি,
এ সমস্ত কিছু কিন্তু ওরই।
তারপর তুমি বড় হয়ে যাও,সেদিন আমি সামান্য টিলা
তোমার জানলার সামনে,
যখন দেখি আর পারছি না তোমার বিনম্র পাহাড় হতে,
আর কি করব বল?
তোমায় হিংসে করি।