সমাধি 'পরে
সমাধি 'পরে
জ্বেলে দিয়ে যেও প্রেমের প্রদীপ আমার সমাধি 'পরে,
রাতের অন্ধকারে।
পুষ্পগুচ্ছ সাজিয়ে দিয়ে স্মরণ কোরো মোরে,
বেদনার বালুচরে।
সারাটি জীবন সাথী হয়ে ছিলে আমার এ ছোট্ট ঘরে,
তবু একটি বারের তরে,
সখা মেনে নিয়ে ডাকনি কভু তোমার মনের দ্বারে,
প্রাণহীন সংসারে।
শান্তি তুমি নিজে তো পেলে না, নিয়েছো শান্তি হরে,
কষ্টের কারাগারে,
নিজের যুক্তি সদাই দিয়েছো, আপন বিচার জোরে
বিদ্ধ করেছো তীরে।
বেঁচে তো আমি ছিলাম ঠিকই, মরমে ছিলাম মরে,
আপন মনের নীড়ে,
খুঁজেও দেখোনি আমায় পেতে কখনো চেষ্টা করে,
আম জনতার ভিড়ে।
হয়তো আমি প্রত্যাশী ছিলাম কখনো বা জোর করে,
বাঁধবে বাহুর ডোরে,
চাঁদের বুকেই সোঁপে দিতাম আলোর ঝর্ণা তীরে,
সাঁঝের বাতিটিরে।
আজ আমি নেই তোমার সাথে, চলে গেছি বহুদূরে,
বন্দি কফিন ঘরে,
সেথায় আমার প্রেমের ছবি কাঠের দেওয়াল জুড়ে,
আঁকছি নতুন করে।
আর কি তুমি মনের কথা শোনাতে পারো মোরে,
কঠিন কঠোর সুরে,
কখনো আমার বেদনার বাণী, কফিন আধার ছেড়ে
ছড়াবে না অন্তরে।
তবু আশা রাখি ব্যাথার আঙ্গনে মলম প্রলেপ ভরে,
লাগাবে সমাধি 'পরে,
জেনো, তৃপ্তি পাবে মোর অন্তরাত্মা এই ভুবনের পারে,
দুফোঁটা চোখের নীরে |
