পুরুষ জীবন নয়কো সোজা
পুরুষ জীবন নয়কো সোজা
পুরুষ জীবন নয়কো সোজা
-শ্যামশ্রী কর্ম্মকার
________________________________________
পুরুষ জীবন নয়কো সোজা, নয়কো স্বাধীন পাখি-
পুরুষ বলেই ভেজা বারণ কঠিন কষ্টেও তাদের আঁখি।
পুরুষ মানেই হাজার দায়িত্ব,বয়েসে সে ছোট কিংবা বড়ো।
পুরুষ মানেই বংশ প্রদীপ,তাই বংশের জন্য নিজেকে তৈরি করো।
পুরুষ কূলে জন্ম তাই সবাইকে হারিয়ে হতেই হবে সেরার সেরা।
সমাজে প্রতিষ্ঠা না পেলে সম্মান পায়না কোনও পুরুষরা।
পুরুষ তাই, সবার স্বপ্নের ভার তাদের বইতে হয় নীরবে,
পরিবারের সবাই আশা রাখে, তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবে।
পুরুষ মানেই সমাজ কিংবা পরিবারের হতে হবে ভরসাদাতা-
হাজার কষ্টের মাঝে তাদের শিখতে হবেই সবকিছু সামলে রাখাটা।
নিজের কাজ করে যেতে হয় তাদের, কত-শত বিপদ নিয়ে মাথায়,
তাদের কাজের কেউ ভাগ নেয়না,কেবল তাদের গরিমার ভাগ চায়।
প্রেম ভালোবাসা আসে তাদেরও জীবনে,যেমনটি সবার আসে-
হারিয়ে ফেলে তাদের ভালোবাসা বেকারত্বের ফাঁসে।
চলে যেতে দেখে কাছের মানুষটারে অন্যের হাত ধরে -
তার সাথে দেখা স্বপ্ন গুলোর নীরবে অশ্রু ঝরে।
পুরুষ মানেই যেন এক অর্থ তৈরির মানব যন্ত্র-
আবেগ অনুভূতি দূরে ঠেলে, অর্থ জোগান দেওয়াটাই যেন তার মন্ত্র।
কপালে তাদের লেখা থাকে সারাজীবন খেটে চলা-
ছেলে,দাদা,স্বামী,বাবা হয়ে সংসারের ঘানিতে নিজেরে পিষে ফেলা।
সবার ভার বয়ে চলেও, শেষ জীবনে সন্তানদের কাছে বোঝা হয়-
বৃদ্ধাশ্রমে জীবন কাটে কিংবা অবহেলায় বাকি জীবন যায়।
পুরুষকূলে জন্ম নিয়ে, বয়ে চলা নয় সোজা কর্ম্ম।
মনের ভিতর যন্ত্রণা চেপে রেখে,বাইরে পড়ে থাকতে হয় কঠিন বর্ম।
এমনভাবেই সবার মাঝে হারিয়ে যায় কত শত পুরুষদের স্বপ্ন -
তবু শুনতে হয় তাদেরকেই, কিছুই পায়নি তার মতো স্বামী,বাবা কিংবা সন্তান পাওয়ার জন্য।
