শিক্ষক
শিক্ষক
জীবনের কর্তৃত্বব্যঞ্জক সহোদর সুপ্রশিক্ষণ এবং স্ব প্রশিক্ষণ।
স্কন্ধে উন্মীলিত মস্তকের আমিত্বের দম্ভ অশিক্ষার নামান্তর মাত্র।
জীবনের গর্ভ গৃহে যুগ হতে যুগন্তর ধরে পূজিত হয়ে চলেছে শিক্ষা গুরু,জীবনের জোড় বিজোড়ের অন্তহীন শূন্যতা যে ভাষা তত্ত্বের নামান্তর মাত্র।
শিক্ষার প্রারম্ভিক কাল সময় চক্রের ঘূর্ণাবর্তে সৃষ্টি করে চলেছে আদিম নিষেধাজ্ঞা।
এক পক্ষকাল ধরে যে বলশালী দের আধিপত্য বিস্তারের নির্মম প্রচেষ্টা তাকে সাধুবাদ জানাই কি রূপে?
জীবনের বিয়োগান্তে শূন্য পাত্র হতে যে ঘন তরল মাটিতে মিশে যায় তাকে কি শিক্ষা বলে?
রাষ্ট্র তন্ত্রের অমর্যাদা আমার সাধ্যাতীত নিস্ফল ক্রন্দন,সেই দুঃসাধ্য আমার নাই।
আদিম কাল হতে মনুষ্য প্রজাতি সৃষ্টির স্তরে স্তরে যে অনাবিষ্কৃত তথ্যের উন্মোচন ঘটিয়ে চলেছে তাকেই যে শিক্ষা বলে।
তাকিয়ে দেখো ওই দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহে,
হেঁটে চলো শুষ্ক প্রান্তরে যেখানে এক বিন্দু জলের অস্তিত্ত নাই,
ভাসিয়ে দাও তোমার পালহিন ভেলা ওই উত্তাল জলরাশির মাঝে ,দেখতে পারবে ঢেউয়ের তালে তালে ছন্দে ছন্দে প্রকৃতির আহ্বান।
কোনো এক অজানা দুপুরে আলিঙ্গন করো তোমার একাকিত্বকে কোনো এক শিল্পীর হাতে আঁকা দৃশ্য পটে,বারে বারে নতুন উপলব্ধির সঞ্চার ঘটবে।
ওই সুবিশাল পর্বতমালা, গিরী খাতের প্রস্তর মাটিতে কান পেতে দেখো,শুনতে পারবে কত শতাব্দীর কষ্ট বুকে নিয়ে সে যুগের পর যুগ ধরে দন্ডায়মান।
কোনো এক মন খারাপের রাতে যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে,ভিজে দেখো,
ভিজিয়ে দাও তোমার নগ্ন সত্তা ,সে জানতে চায়,সে চিনতে চায় আবারও নতুন ভাবে,নতুন রূপে।
শিক্ষক ,শিক্ষাত্রির সম্পর্কে অতি প্রাচীন,অতি আদিম,
স্থান,কাল, পাত্র,ব্যাক্তি,বস্তু,অভিজ্ঞতা,আত্ম উপলব্ধি,আত্ম বিস্মৃতি,অনুদান এবং বিনোদন এরা সকলেই যে শিক্ষক,
পণ্ডিতের টোল হতে যার সূত্রপাত ,বিদ্যালয়,উচ্চ শিক্ষার্থে কলেজে পঠন অধ্যায়ন,পুঁথি থেকে যার শুরু যার কোনো শেষ নাই ,
আমাদের পথ প্রদর্শক সেই সমস্ত মানুষ যাদের নিরন্তর প্রয়াসের ফলে জন্ম নিচ্ছে নবজাগরণের অগ্রদূত তাদের সকলকে জানাই শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা এবং সশ্রদ্ধ প্রণাম।