প্রহর
প্রহর
যদি বলি এই মিথ্যে কথার শহরে তোমায় নিয়ে মাঝরাস্তায় হাজারো বারণ অবহেলা করে এক মুঠো স্বপ্ন আঁকি?
যদি বলি শব্দের মাঝে হারিয়ে যেতে যেতে বুঝেছি ভালোবাসা এতটাও সোজা নয় ।
কোনো এক নিরালা বিকেলে একাকী সেই চিলেকোঠায় এক ঝাঁক পায়রার বকবকম শুনতে শুনতে যখন স্মৃতির আনাচে কানাচে যায় না বলা গল্পঃ কথা।
যখন আপনের মাঝে আপনি থেকে তুমি হয়ে ওঠার গল্পঃ বড্ড নস্টালজিক হয়ে ওঠে।
যেনো প্রিয়তমা তোমাতে মজেছি,লিখে রেখেছি সেই না বলা তারাদের গল্পঃ ।
এক ঝাঁক গল্পের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার গল্পঃ যার ইতিবৃত্ত তোমারই মাঝে অনন্ত প্রতীক্ষা।
আচ্ছা বলতে পারো রাত গুলো কেনো অঙ্কের জটিল সমীকরণে কাটে?
বলতে পারো হাজারো অপ্রাপ্তির মোহে নির্ভীক সেই আমি কেন বারংবার প্রেমে পরি?
কোনো এক অলস ক্ষণ জুড়ে গুনতে থাকি সেই অবাধ্য চাহুনির ওঠা পরা?
যদি বলি তোমায় যে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই?
যদি বলি আসমানী রঙে রাঙিয়ে দেবো তোমায় আমার শুভ্রতার শূন্য ক্যানভাস জুড়ে?
ভালোবাসবে আমায়?
যদি বলি সাতরঙা রামধনুর প্রতিটি রঙের বাহারে ভরিয়ে দেবো তোমার জীবন।
কি ভাবছো?
অর্থহীন অপদার্থ ছেলেটি শুধু উন্মাদগ্রস্থ নয় সে যে আবার প্রেমিক পুরুষ ।
মনে হচ্ছে না এ আবার কেমন ধারা প্রেম যেখানে দামী উপহার নয়,দামী গয়না নয় শুধু উজাড় করে একটু ভালোবাসতে চায়?
সে চায় তার ভালোবাসার সেই মানুষটির হাতে হাত রেখে পাড়ি দিতে শত সহস্র যোজন দূরে।
হ্যা আমি জানি এমন ভালোবাসা পাঁচশ কিংবা হাজার টাকার মত বড়ই অচল ,কিন্তু তবুও যে স্বপ্নীল জাদুঘরে হাজারো প্রদীপ জ্বালিয়ে সে বসে রয়েছে,এক আকাশ নীরবতা বুকে নিয়ে ।
কালের স্রোতে সে হারিয়েছে বহু মানুষ,
প্রহরের পর প্রহর কেটে যায়,মুহূর্তের স্রোতে ভেসে চলে স্মৃতির ঘরকুটো।
বিলাসবহুল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেই ছোট্ট ঘরে কেঁদে চলে শত মান অভিমান।
ও হ্যা যেটা বলা হয় নি,বলার ক্ষমতা ছিল না ঠিক তা নয় তবে এই পথ চলার মাঝে যদি কোনোদিন এক আদি অকৃত্তিম স্পন্দন তোমায় জানান দেয় ,
এবার এসেছে সময় ,সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেই পাগল প্রেমিক কে এক দীর্ঘ আলিঙ্গন করে বুকে টেনে নেওয়ার,
সামনে তাকিয়ে দেখো,এক আদিম কুয়াশার চাদরে ঘিরে থাকবে যে তটভুমি ,সেখানে এক নগ্ন পুরুষ সারা শরীরে ধুলো মেখে সাজিয়ে চলেছে আরেক পুনরুত্থানের গল্পঃ ।
তাকে খুঁজে নিও ।