সহবাস
সহবাস
উশৃঙ্খল যৌবনের কামাচরিত ঔপন্যাসিকের রম্য রচনায় পাঠক বর্গের সম্মুখে যে আদিম অলঙ্করণ অঙ্কিত করিয়াছে বারংবার,
স্তব্ধ জন সমরহে অকস্মাৎ উল্লাসিত কল্লোলদ্ধনী বিধ্বংসী ঘুর্ণয়মান কালের আরক্তে মিশাইয়া দিতেছে স্মৃতির উচ্ছাস।
হৃদয় শকটের চতুষ্কোন বিস্তৃত করিয়া অদ্য নতুন শিশিরের আগমন, শৈত প্রবাহের তীব্র দংশনে নগ্ন কলেবর জুড়িয়া এক খন্ড বস্ত্রের নাম গন্ধ নেই।
অম্ভুরি তামাকের সুমধুর আগ্রাসী চুম্বন অষ্ঠোদ্বয়কে আর আকর্ষিত করে না,যাহা ছিল তাহা ইহকালের ছাই মাত্র,তাহাদের খোলস উন্মোচিত করিয়া কি রূপে খুঁজিয়া চলি বলো সেই পরশ পাথর?
কর্তৃত্বহীনতার নির্লজ্জ হাসি যে ফিনফিনে বস্ত্রের মাঝে অবস্থিত এক খন্ড হারের বিগলিত কৌতুক কে নাতিশীতোষ্ণ সীমারেখায় বারংবার পরাজিত করে তাহাকে কি রূপে ভোলাবো বলিতে পারো?
শরীর আর মনের ক্ষুদা কে তোমরা নির্জীব কাগজের নোটবন্ধী প্রলুব্ধ আস্বাদনে গ্রাস করিতে চাহিয়াছ , তোমারা যে ক্ষমার অযোগ্য,
নিষেধের সর্পিল বাঁকে মোহময়ী কামিনী নারী হাতছানি দিয়া ডাকে ,কোটরাগত দুই চক্ষু মেলিয়া ধরিয়া আমি কর্দপশূণ্য এক চাহুনি মেলিয়া খুঁজিতে থাকি স্বপ্নীল সাঁঝ বাতি।
এইবার ফিরিবার পালা,বেলা বহিয়া যায়,নদীর ঘাটে পাল উড়াইয়া বহিয়া যাইবো সেই শুন্যতার ছায়াপথে,যেখানে কোনো শোক নাই,ক্ষুদা নাই,কাম বিকৃতি নাই,রহিয়াছে শুধু অনন্ত সৃষ্টির আনন্দ।
কাব্যিক উষ্ণিশে গলায় ধারণ করিব রজনীগন্ধার মালা, হাতে নিব গোলাপ ফুল এক তারা,
রাতের কুহেলিকা আমায় ডাকিতেছে, এ আহ্বান লুক্কায়িত করিবার সামর্থ্য যে আমার নাই।
আমার একলা রজনীর চন্দ্রিমার আলোকচ্ছটায় সেই তস্মিনকালের তপোবন আবারও প্রজ্জ্বলিত।
আমি আসতেছি,আসিতেছি,আসিতেছি প্রিয়তমা,
সমাজের কলঙ্ক মাথায় লইয়া তোমার মন কেমনের রাতে করিব তুমি আমি এক আদি অকৃত্তিম সহবাস।

