রমণীর বিলাপ
রমণীর বিলাপ
ঘন কালো মেঘের ঘনঘটায়, ভয় পেয়েছো মনে;
ভয় যে লাগে বজ্রপাতের শব্দ এলে কানে।
আঘাত যেথা করবে সেথা জ্বলে পুড়ে ছারখার,
দেখতে পাবে দুচোখ মেলে, মার যে বিধাতার।
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে, জলদ মেঘের দান;
ঘর বাড়ি সব ভাসিয়ে দেবে কীর্তিময়ী বান।
এসব তোমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছ বলে,
প্রতিকারের চেষ্টা করো আপন ক্ষমতা বলে।
দেখে যাও মোর ঘর পুড়ছে সিগারেটের ধোঁয়ায়,
কালো ধোঁয়া কুন্ডলি হয়ে বাতাসে বিষ মেশায়।
আমার ঘরে যে জন একা উপার্জনটা করে,
নেশার বিষে ধুঁকছে সদা, এই বুঝি যায় মরে।
ঘরের ছোট বাচ্চাগুলোর বৃদ্ধি গিয়েছে থেমে,
নিষ্ক্রিয়,তবু বিষের কণা বক্ষ পাঁজরে জমে।
আমি জানি, এইভাবে যদি বাড়তে থাকে নেশা;
সেদিন বুঝি আর দেরি নেই যেদিন হারাবো আশা।
মরবে জানি আমার স্বামী, বুকেতে ঘুণ ধরে;
বজ্রপাত তো হবেই সেদিন আমার এ সংসারে।
ভেসে যাবে যত খড়কুটো সব হড়কা বানের তোড়ে,
নিষ্পাপ কিছু প্রাণ চলে যাবে প্রাণের জগত ছেড়ে।
একটু যদি সাবধানে থাকো, বিধিনিষেধ চলো মেনে;
আমার মতো কেউ বুঝি আর মরবে না ধনে প্রাণে।