পরকাল
পরকাল
জানত না সে ; কেশে কেশে ধরে গেছে পাক,
এমনিতে সে বৃদ্ধ নয় ; মাঝ বয়সী তরুণ,
চালশে পড়া দু'চোখে তার আরণ্যকের ডাক,
মরীচি মতন সূর্য্য তখন তপন নয়; অরুণ ।
জানত না সে ধুকপুক করে চলছে তার বুকে,
বদ রক্ত বাছাই করা জ্যান্ত যন্ত্র দৈত্য ,
সকল সময় কথায় কথায় খই ফুটছে মুখে ,
তাপনিরোধী ঘরের ভেতর আসছে প্রবল শৈত্য ।
জানত না সে ; দিনের বেলায় আপদ-বিপদ থাকে,
রাত্তিরে তাই মুখ ঢাকত গড্ডালিকার বায়,
ভোরাই হলে রাঙা অরুণ অস্তাচলেই ডাকে ,
ভরা নদী মরা হলেও কলস্বরেই গায় ।
জানত না সে ; কোনটা বড় ধর্ম নাকি কর্ম !
যে ভাবে হোক কাটিয়ে যেতে বেঁচে থাকার কাল,
জানত শুধু উপার্জনই জীবনের সারমর্ম ,
আপনা বাঁচলে বাপের নাম; ইহকাল পরকাল।