পিঠ চাপড়ায়
পিঠ চাপড়ায়
পেড়োর গড়ের শেষ রাজা নরেন্দ্র নারায়ন রায়,
তাঁর পুত্র মহাকবি রায়গুণাকর ভারত চন্দ্র রায়।
মনের যত কথা তিনি বলেছেন বাংলা কবিতায়,
দেখতে পেয়েছিলেন তিনি ঈশ্বরী পাটুনীর মাতৃ হৃদয়,
যার প্রতি ঈশ্বরী অন্নদা ঠাকুরন হয়েছিলেন সদয়।
নিজের পরিচয় দেবার পর দেবী যখন বর দিতে চান,
ঈশ্বরী পাটুনীর সরল মাতৃ হৃদয়ের পরিচয় পান।
দেখা যায় শুধু মাত্র সন্তানের খাবারের চিন্তা তার হয়,
এ কারনেই নদীতে যাত্রী পারাপার করে সে নৌকায়।
মায়ের প্রাণের আকুতি ফুঁটে উঠেছে যে লাইনটিতে__
ঈশ্বরীর মুখে "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।"
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের "অন্নদামঙ্গল" কিংবা,
পাঠ্যবই এর কবিতা-কাহিনী,"অন্নদার আত্মপরিচয়"!
দেবী অন্নপূর্ণার কথা জেনেছি তো আমি এই ভাবেই,
আসল পূজা যে পেট পূজা কথাটা জেনো সকলেই।
পেট ভরা থাকলে তবেই পড়াশোনা করতে ইচ্ছে হবে,
নিজের ইচ্ছায় লোকে তবে বই নিতে লাইব্রেরী যাবে।
পড়শী দেশ শ্রীলঙ্কায় নাকি পাঁচশো টাকা কেজি চাল,
বুঝতে পারিনা দিনে দিনে পৃথিবীর এ কি হচ্ছে হাল !
যখন তখন দেশে দেশে যদি এমন যুদ্ধ লেগে রয়,
মনটা সদাই ভাবে না জানি কখন, কি হয়, কি হয় !
পাকিস্তানেও চলছে আজব রাজনৈতিক অস্থিরতা,
রাত বারোটার পরেও সভা,ভোট,জেল, নানান বার্তা।
তাকে সাজানো বই গুলোতে জমছে ধূলোর আস্তরণ,
পড়ার সময় নেই কারো, ভেবে কেমন করে ওঠে মন।
পড়ুক, না পড়ুক কেউ, লেখকের উৎসাহে নেই ভাটা,
কথাটা পছন্দ না হলে ভাই,লাগাও উল্টো দিকে হাঁটা।
কবিতা কিংবা গল্প লিখে নাই যদি হয় কোনো আয়,
ক্ষতি কি! এখন লোক নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ায়।
