ভিখিরি নয় অথচ
ভিখিরি নয় অথচ
পৃথিবীর এগিয়ে যাবার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে,
মানুষ আজকাল যেন দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে।
এমন একটা ট্রেনে চেপে বসেছে যা,
আশেপাশের সব পুরোনো জিনিসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
স্মার্ট হতে হতে অনেক কিছুই তো হারিয়ে ফেলেছে। কলের গান, রেডিও, ট্র্যান্জিস্টার, টেপ-রেকর্ডার,
সব কালের গর্ভে নিজেদের মুখ লুকিয়েছে।
আধুনিক হতে হতে, অতি আধুনিক হয়ে পড়েছে !
মাত্র তিন দশক আগে বাজারে আসা মোবাইল,
আজ ডাস্টবিনে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
থ্রী জি, ফোর জী, ফাইভ জী, একে একে তৈরী হচ্ছে।
বড় সড় ঝাঁ চকচকে স্মার্টফোন যে স্ট্যাটাস বাড়ায়,
চাইনিজ হোক বা ইন্ডিয়ান, ইন্টারনেট থাকা চাই।
কাগুজে বই অতীত, ই-বুক, জগৎ করেছে দখল,
ছাত্র - ছাত্রীদের অবশ্য তাতে বেড়েছে মনোবল।
করোনা আসাতে তো বাজা
র ঘাটও স্মার্ট হয়েছে।
অনলাইনে অর্ডার করলে, যাই ই মানুষের দরকার,
ডেলিভারি বয় রা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে।
নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে হাইজিনিক হয়েছে,
হ্যান্ড ওয়াশ আর স্যানিটাইজারের বিক্রি,
অনেক অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
সুবিধার কারণে এবং স্মার্ট হতে গিয়ে বঙ্গ ললনা,
শাড়ি ছেড়ে অনেকেই চুরিদার পড়া শুরু করেছে।
কিশোরীরা তো জিন্স টপেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে,
এ পর্যন্ত তো সব ঠিক ই ছিলো, কিন্তু এ কি হলো !
কিন্তু অতি আধুনিক হতে গিয়ে যখন____
আরো খোলামেলা পোষাক, অথবা গান ওয়াশ,
বা ইচ্ছে করে ছেড়া ছেড়া পোষাক পড়ে রাস্তায় চলে,
ভিখিরি নয়, সে তো ওদের চেহারা-সাজগোজ বলে।
স্মার্ট হতে গিয়ে বোধহয়, মনটা ভিখিরি হয়ে পড়েছে।